নেপালের জন্য বন্দর খুলে ভারতের চিন্তা বাড়াল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ফের ধাক্কা খেল ভারত। চারটি বন্দরে নেপালিদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে চীন। শুধু বন্দরই নয়, এখন থেকে চীনের স্থলপথেও বাণিজ্য করতে পারবে নেপাল। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চারপাশে হিমালয়ে ঘেরা নেপাল বরাবরই অনেকাংশে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। এবার যেন সেই নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে দেশটি। আর এই সুযোগটি করে দিল চীন। দেশটি কাঠমাণ্ডুকে পণ্য চলাচলের জন্য ৪টি বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া দিয়েছে। এছাড়া চীনের ৩টি স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে পারবে নেপাল। এখন শুধুই লিখিত চুক্তির অপেক্ষা।

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য চলাচলের জন্য নেপাল কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দরের ওপরে নির্ভরশীল। তবে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্ত সমস্যার কারণে বেশ কয়েকমাস ধরে নেপালে প্রবল জ্বালানি ও ওষুধের সমস্যা তৈরি হয়। পরপর দুবছর এ নিয়ে সমস্যার পরই নেপাল ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার চীন ও নেপালের মধ্যে বন্দর ব্যবহার করতে দেয়ার বিষয়ে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। এর ফলে নেপাল চীনের তাইঝিন, সেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।

নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের ২টি বন্দরের পাশাপাশি চীনের ৪টি বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে নেপাল। এতে করে জাপান, কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানির সময় চীনের বন্দর ব্যবহার করলে সময় অনেকটাই কম লাগবে। খরচও কমবে।

তবে চীনের ৪টি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেলেও তার জন্য নেপালকে বড়সড় খরচের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ নেপাল থেকে চীনের নিকটতম বন্দরের দূরত্ব ২৬০০ কিলোমিটার।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এর আগে দুই দেশের মধ্যে রেললাইন সংক্রান্ত চুক্তিতেই নেপাল ও চীনের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত মেলে। ওই চুক্তির ফলে নেপালের মাটিতে ঢুকতে চলেছে চীনা ট্রেন। তিব্বত থেকে আসা এই রেলপথ চালুর বিষয়ে স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। গত জুন মাসে চীনা ও নেপালি সংবাদমাধ্যমে সেই খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

তবে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতের নাকের ডগায় যেভাবে চীনের ট্রেন ঢুকছে তাতে চিন্তা বাড়বেই মোদির।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।