কাতারকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বানাবে সৌদি
কাতারকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি খাল কাটার পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার। সৌদির একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা শুক্রবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। কাতারের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরের মারাত্মক কূটনৈতিক বিরোধ চলছে। এমন পরিস্থিতিতেই নতুন পরিকল্পনার কথা জানালো সৌদি।
এক টুইট বার্তায় সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের শীর্ষ উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানি বলেন, সালওয়া দ্বীপ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক প্রকল্প এই অঞ্চলের মানচিত্রে পরিবর্তন আনবে।
এই পরিকল্পনার মাধ্যমে কাতার বাহ্যিকভাবেই সৌদি আরব থেকে আলাদা একটি দ্বীপরাষ্ট্রে পরিণত হবে। সৌদি আরবসহ চার আরব দেশের সঙ্গে কাতারের ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্ব চলছে।
২০১৭ সালের জুনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাইরাইন এবং মিসর। সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায়তা এবং ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশগুলো। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দোহা।
গত এপ্রিলে প্রথম এই প্রকল্পের কথা প্রকাশ করে সৌদি গণমাধ্যম। সে সময় আরবি ভাষার অনলাইন পত্রিকা ‘সাবকা’ জানিয়েছিল, এই খাল ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং প্রস্থ হবে ২০০ মিটার। কাতারের সঙ্গে সৌদি সীমান্তে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এই খালে একটি পরমাণু বর্জ্যের ডাম্পিং কেন্দ্র বানাবে সৌদি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৮০ কোটি সৌদি রিয়েল ব্যয় করা হবে। গত জুনে দ্য মক্কা পত্রিকার খবরে জানানো হয়েছিল, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক পাঁচটি কোম্পানি দরপত্রে অংশ নেয়। চলতি মাসে বিজয়ী কোম্পানির নাম ঘোষণা করবে সৌদি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মন্তব্য করা হয়নি। অপরদিকে, কাতারের তরফ থেকেও এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
টিটিএন/এমএস