প্রিন্সেস ডায়নার জন্য করা বোরকার নকশা নিলামে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়না যখন উপসাগরীয় এলাকায় ভ্রমণে যান তখন তার জন্য বেশ কিছু বোরকার মতো পোশাকের ডিজাইন করা হয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু পোশাকের ডিজাইন করেছিল দ্য এমানুয়েল।

১৯৮৬ সালে প্রিন্সেস ডায়নার উপসাগরীয় অঞ্চল ভ্রমণের জন্য নকশা করা হয়েছিল এমন একটি বোরকা চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে অন্যান্য পোশাকের নকশা এবং কাপড়ের নমুনাও প্রদর্শন করা হবে।

এসব পোশাক এসেছে ডেভিড এবং এলিজাবেথ এমানুয়েল এর ফ্যাশন হাউজ থেকে যারা প্রিন্সেস ডায়নার বিয়ের পোশাকেরও নকশা করেছিলেন।

dyna

ডিজাইনাররা একটি বিভাগের নাম দিয়েছেন, দ্য গালফ ট্যুর ১৯৮৬: দিবা ও সান্ধ্য-কালীন পোশাকের নকশা শিরোনামে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজাইনারের হাতে আঁকা নকশার পাঁচটি অরিজিনাল বা মূল পোশাক।

একটি বোরকার বিষয়ে লেখা আছে: প্রিন্সেস অব ওয়েলস, সৌদি আরব সফর, নভেম্বর, ১৯৮৬, রিজার্ভ আউট-ফিট।একটি নেভি এবং সাদা ডোরাকাটা কোট, সান্ধ্য-কালীন পোশাক, সাদা সিল্ক ক্রেপে এমব্রয়ডারি করা ক্রিস্টাল বসানো আরেকটি সান্ধ্য-কালীন পোশাকও থাকবে নিলামে।

একজন সংগ্রাহকের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে এসব দ্রব্য বিক্রি করা হবে যার মূল্য ধরা হয়েছে ২৩ হাজার পাউন্ড।

dyna

ডিজাইনার এলিজাবেথ এমানুয়েলকে উদ্দেশ্য করে ডায়নার রাজকীয় সাহায্যকর্মী অ্যানি বেক উইথ স্মিথ গালফ ট্যুরের জন্য পোশাকের ডিজাইন করতে অনুরোধ তুলে ধরে যে চিঠি লিখেছিলেন তা ও এই নিলামে স্থান পাবে। তার লেখা ওই চিঠিতে গালফ ট্যুরের জন্য পোশাকের নকশার নির্দেশনা দিয়ে লেখা হয়েছিল: সব দিক দিয়ে মার্জিত পোশাক হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

প্রিন্সেস ডায়না এবং প্রিন্স চার্লস ছয়দিনের সফরে উপসাগরীয় অঞ্চল এবং সৌদি আরবে যান। নিলামের উদ্যোক্তারা বলছেন, সফরের সময় প্রিন্সেস ডায়না পোশাকের ক্ষেত্রে স্থানীয় রীতি-নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক পরার চেষ্টা করেন, তবে গলা এবং মাথা অনাচ্ছাদিতই রাখেন তিনি।

উল্লেখযোগ্য হলো, রিজার্ভ আউট-ফিট হিসেবে মার্ক করা বোরকা প্রিন্সেস ডায়নার পরা হয়নি। সান্ধ্যকালীন ভোজসভায় লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক পরে উপস্থিত হতে দেখা গেছে তাকে। সেসব পোশাক ওই সফরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।