সু চির পদত্যাগ করা উচিত : জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রা'দ আল হুসেইন। গত বছর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর সহিংস অভিযানের ঘটনায় নোবেল জয়ী এই নেত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন এই বিদায়ী মানবাধিকার প্রধান।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জেইদ রা'দ আল হুসেইন বলেন, নোবেল বিজয়ী এই নেত্রী যে অবস্থানে আছেন সেখান থেকেই তিনি কিছু করতে পারতেন। তিনি চুপ থাকতে পারতেন অথবা আরও ভালো হতো যদি তিনি পদত্যাগ করতেন।

জেইদ রা'দ আল হুসেইন বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র হওয়াটা সু চির কোনো দরকার ছিল না। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে তার বলা উচিত হয়নি যে এগুলো ভুল তথ্য। এগুলো মিথ্যা গল্প এমনটা তিনি না বললেও পারতেন।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সোমবার জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি জানায়, ব্যাপকহারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাদের সহিংস অভিযান থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন সু চি। জেইদ রা'দ আল হুসেইন বলেন সু চি দেশের সেনাদের বলতে পারতেন যে, আমি দেশের নামমাত্র নেতা হতেও প্রস্তুত আছি, কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে পারব না।

যখন সহিংসতা শুরু হলো তখন সু চির বলা উচিত ছিল যে, ধন্যবাদ, আমি পদত্যাগ করছি। আমি গৃহবন্দী হবো কিন্তু এমন পরিস্থিতি সহ্য করতে পারব না। ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সামরিক সরকারের অধীনে সু চি প্রায় ১৬ বছর গৃহবন্দী ছিলেন। মিয়ানমারে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন তিনি। অথচ তার চোখের সামনেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।