জার্মানিতে সরিয়ে ফেলা হলো এরদোয়ানের মূর্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৮

জার্মানির ভিসবাডেন শহরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একটি প্রতিমূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল সোমবার। পরের দিন সন্ধ্যায় শহরের দমকল কর্মীরা সেটি সরিয়ে ফেলেন।

এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, যেহেতু প্রতিমূর্তিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না, তাই এটি সরিয়ে ফেলা হবে। জার্মানির সরকারি প্রচারমাধ্যম জেডডিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনগণের কাছ থেকে ভাস্কর্যটি ‘রক্ষা' করতে পুলিশকে কাজ করতে হয়েছে। এছাড়া ‘প্রচণ্ড বিবাদে' লিপ্ত কয়েকজন কুর্দি ও তুর্কি-জার্মানকেও আলাদা করে দেয় পুলিশ।

শহর কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে জানিয়েছেন, এটি (প্রতিমূর্তি) একটি শিল্পকর্ম ছিল, ভিসবাডেন বিয়ানালে ফর কনটেম্পরারি আর্ট'র অংশ। তবে শহর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। এই বছরের আর্ট উৎসবের প্রতিপাদ্য বিষয় খারাপ খবর।

ওই মুখপাত্র আরো জানান, তারা কয়েকজন বিভ্রান্ত নাগরিকের কাছ থেকে টেলিফোন পেয়েছেন। ভাস্কর্যটি যে বিয়ানালের অংশ, সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত ছিলেন না।

স্থানীয় পত্রিকা ভিসবাডেনার কুরিয়ার বলছে, শহর কর্তৃপক্ষ ভাস্কর্যটির অনুমোদন দিয়েছিল, তবে সেটি যে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হবে, তা তারা জানতেন না।

এদিকে, ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার একটি ভিডিও ক্লিপ টুইটারে প্রকাশ করেছে ভিসবাডেন পুলিশ। ভিসবাডেন শহরে স্থাপিত ওই ভাস্কর্যে এরদোয়ানকে তার ডান হাত উপরে তোলা অবস্থায় দেখা গেছে। প্রতিমূর্তিটি দেখতে অনেকটা ইরাকের সাবেক নেতা সাদ্দাম হুসেনের একটি ভাস্কর্যের মতো ছিল, যা মার্কিন বাহিনী ২০০৩ সালে ভেঙে ফেলে।

এরদোয়ানের ভাস্কর্য স্থাপনের পর স্থানীয় কয়েকজন উৎসাহী তুর্কি-জার্মানকে ওই প্রতিমূর্তির সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয় কুর্দ ও অন্যরা একজন কর্তৃত্ববাদী নেতার প্রতি সমর্থন প্রকাশের বিষয়টির সমালোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আগামী মাসে বার্লিন সফরের কথা রয়েছে। তবে তার কর্তৃত্ববাদী আচরণের জন্য অনেক জার্মান এই সফরের বিরোধিতা করছেন। ডিডব্লিউ।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।