শর্ট ফিল্ম বানিয়ে বরখাস্ত সাত শিক্ষার্থী!
পরীক্ষা চলছে। পাশাপাশি কয়েকটি বেঞ্চে পরীক্ষা দিচ্ছে কয়েকজন ছাত্র। পরীক্ষায় একে অপরের খাতা দেখে লিখছে, আবার কেউ পকেট থেকে নকল বের করে দেখে নিচ্ছে! তবে শিক্ষকের নজর পড়তেই সবাই চুপ।
এরপর শিক্ষক ঘুমিয়ে পড়তেই আবার স্বমহিমায় ফেরে ছাত্ররা। এবার পেরিয়ে যায় আরও একধাপ। শিক্ষকের টেবিল থেকে তুলে নিয়ে আসা হয় বই। তার পর সেই বই দেখেই শুরু হয় গণ টোকাটুকি।
এবার তাল কাটে শিক্ষক এসে যাওয়ায়। ধরা পড়ে গিয়ে ছাত্রের তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। কী করবে বুঝতে পারছে না তারা। শেষে এক এলাহী কাণ্ড ঘটিয়ে দেয় এক পরীক্ষার্থী।
এমনি এক কাণ্ডের শর্ট ফিল্ম বানিয়ে বিপাকে পড়েছে সেই স্কুলের সাত শিক্ষার্থী। তাদের এ ‘অপরাধে’ স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তোলা হয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ।
ভারতের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন সাহা জানিয়েছেন, এটি শুধু একটি অপরাধ নয়। দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু ছাত্র স্কুলের নিয়ম মানছিল না। তাছাড়া ছবি আপলোড করে স্কুলের বেশ কিছু বিধি ভেঙেছে তারা। তাই স্কুলের শিক্ষকদের সহমতে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বীরভূমের জেলা প্রশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেছেন, ‘ছাত্ররা ভুল করতেই পারে। তাদের অপরাধ বিচার করে দেখা উচিত। যদিও এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছুই জানাননি।’ সূত্র : কলকাতা২৪
আরএস/পিআর