‘ইউরোপের পতিতালয় জার্মানি’

মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল)
মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল) মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল) , সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০১৮

দাসত্ব সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ, তবে চর্চা এখনো রয়ে গেছে। জার্মানিতে এখনো অনেককে জোর করে পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

গোটা বিশ্বে চার কোটি মানুষ এখনো এক অর্থে দাসত্বেরই শিকার। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানো হয় তাদের দিয়ে। এমন ১৬৭,০০০ জন মানুষ রয়েছেন জার্মানিতে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বৈশ্বিক দাসত্ব ইনডেক্স থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অতীতে একজন মানুষের মালিকানা আইনত যখন আরেকজন মানুষের হাতে থাকতো, তখন তাকে দাসত্ব বলা হতো। বর্তমানকালে অবশ্য দাসত্বের সংজ্ঞা কিছুটা ভিন্ন। এই বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন (আইজিএম)-এর চেয়ারম্যান ডিটমার রোলার বলেন, ‘দাসত্ব আর আইনিভাবে বৈধ নয়। তবে এটা বহুরূপী এবং গোপনে আজও টিকে আছে।’

আধুনিক দাসত্ব সম্পর্কে ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন লিখেছে, ‘আধুনিক দাসত্ব বলতে এমন পরিস্থিতি বোঝানো হচ্ছে যেখানে একজন মানুষের স্বাধীনতা অন্য কেউ কেড়ে নিয়েছে। এটা একজনের নিজের শরীর নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা হতে পারে, হতে পারে একজনের অপছন্দের কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকার অধিকার হারানোর মতো ব্যাপার।

জার্মানিতে আধুনিক দাসত্বের দেখা মেলে মূলত অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে। দেশটির কেন্দ্রীয় ক্রিমিনাল পুলিশ (বিকেকে) জানিয়েছে, নির্মাণ খাত এবং খাদ্য পরিবেশন খাতে শ্রমিকদের জোর করে খাটানোর নমুনা পাওয়া গেছে। অবশ্য স্থানীয় শ্রমিকদের ভেতর থেকেও একই রকম অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

গত বছর এ সংক্রান্ত ১১টি ঘটনা অনুসন্ধান করে ১৮০ জন আধুনিক দাসত্বের শিকার শ্রমিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

তবে জার্মানিতে যৌন শোষণের হার ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। অবস্থা এমন যে, দেশটিকে ‘ইউরোপের পতিতালয়’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রোলার। বিকেএ'র হিসেবে জার্মানিতে ২০১৭ সালে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে সম্পৃক্ত করা সংক্রান্ত ৩২৭টি মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন প্রথমে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া এবং তারপর জার্মানির নারীরা।

সূত্র: ডিডাব্লিউ

এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।