অস্ট্রেলিয়াতে ঈদের নামাজে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৮

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রায় ৩০ হাজার মুসল্লি। ঈদের নামাজে বিশেষভাবে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তীব্র তাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার মানুষজন। গত কয়েক দশকে এমন তীব্র খরা দেখেননি তারা।

খরায় কৃষক এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের প্রতি সংহতি ও ঐক্য প্রকাশ করে একত্র হয়েছেন প্রায় ১৬টি মসজিদের মুসল্লিরা। তারা সবাই ঈদের নামাজে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন।

ঈদুল আজহা ত্যাগ ও মহিমার প্রতীক। ওইদিন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তহবিল সংগ্রহের প্রচারণা চালিয়েছেন মুসল্লিরা। সিডনির পশ্চিমাঞ্চলে লাকেমবা মসজিদে লেবানিস মুসলিম এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে (এলএমএ) ওই প্রচারণা চালানো হয়।

এলএমএর প্রেসিডেন্ট সামিয়ের দানদান বলেন, যারা সংকটে আছেন তাদের প্রতি আমাদের সবার উচিত একটি অস্ট্রেলিয়ান পরিবার হিসেবে সংহতি প্রকাশ করা এবং নিজেদের দায়িত্ব পালন করা। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্য একত্রিত হওয়া এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়ার এটাই সময়।

এলএমএর পরিচালক আহমেদ মালাস বলেন, এই প্রচারণার পরিবেশ খুবই ইতিবাচক ছিল। সবাই এতে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, খরার সময় প্রায়ই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে নামাজ আদায় করা হয়। ঈদুল আজহা মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ দিনেই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জনবহুল নিউ সাউথ ওয়েলসকে খরাপীড়িত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কুইন্সল্যান্ডেও তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভিক্টোরিয়া এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অংশেও শুষ্ক অবস্থা বিরাজ করছে।

পানির অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সতর্ক করে বলেছেন, দেশ খরাভূমিতে পরিণত হয়েছেন।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।