কেরালায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি
কেরালায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধারে স্বাভাবিক হচ্ছে। রাজ্যের সবগুলো জেলা থেকে ইতোমধ্যেই রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কেরালা সরকার রোববার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা কমিটিকে (এনসিএমসি) একথা জানিয়েছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, কেরালার মুখ্যসচিব টম জস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনসিএমসির এক বৈঠকে যোগদান করেন। তিনি বলেন, কেরালার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে সোমবার থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
কেরালায় বন্যায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে ও ত্রাণ পরিষেবা দিতে এনসিএমসি বৈঠক করেছে। ১৬ অগাস্ট থেকে পরপর চারদিন বৈঠক হয়েছে। এনসিএমসির পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার কর্মকর্তারা।
বৈঠক চলাকালীন কেন্দ্রীয় সচিব পি কে সিনহা সব মন্ত্রণালয়ে আপৎকালীন খাদ্য, পানি, ওষুধ সরবরাহ ও বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষা, আধা সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার, বিমান ও মোটরবাইকে করে উদ্ধারকাজ চলছে। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ চালিয়ে যাবেন।
এদিকে শিবসেনা দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের সব সাংসদ ও বিধায়ককে একমাসের বেতন দিয়ে কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে দু'টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন দু'টি তিরুবনন্তপুরম ও এরনাকুলম থেকে কলকাতা যাবে। সন্ধ্যার মধ্যে যাতে ট্রেনগুলো কেরালার সব লাইন দিয়ে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই দুটি ট্রেন বন্যা কবলিত এলাকায় কম্বল ও চাদর সরবরাহ করবে। সোমবার কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বাণিজ্যিক বিমানও অবতরণ করেছে। কেরালায় ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ইতোমধ্যেই ৩৭০ জন মারা গেছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৯ জনকে। সেই সঙ্গে ৫ হাজার ৬৪৫টি ক্যাম্প করে এই উদ্ধারকাজ চলছে।
টিটিএন/জেআইএম