পোপের চুমুতে সেরে গেল ব্রেন টিউমার?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৮

চিকিৎসকরা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন আর মাত্র কয়েক মাস বাঁচবে ছোট্ট শিশুটি। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এখনও দিব্যি বেঁচে আছে মেয়েটি। কয়েক বছর আগে এক সফরে পোপ ফ্রান্সিস ওই শিশুটির মাথায় চুমু খেয়েছিলেন। অল্প কিছুদিন বেঁচে থাকার কথা থাকলেও শিশুটির ব্রেন টিউমার সেরে গেছে।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ফিলাডেলফিয়ায় সফর করেন পোপ ফ্রান্সিস। সে সময় ভক্তদের আশীর্বাদ করেন তিনি। পোপ হেঁটে যাওয়ার সময় জিয়ানা মাসয়িানতোনিওর বাবা তাকে উঁচু করে ধরলে পোপ তার মাথায় চুমু খেয়ে আশীর্বাদ করেন। সেসময় জিয়ানার বয়স এক বছরের কাছাকাছি ছিল।

pop

তবে পোপের জানা ছিল না যে জিয়ানার ব্রেন টিউমার হয়েছে। তিন বছর পর জিয়ানার পরিবার জানিয়েছে কেমোথেরাপির পর তার টিউমার একেবারে গায়েব হয়ে গেছে। যদিও চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

মাত্র চার মাস বয়সেরই অস্ত্রোপচার হয় জিয়ানার। চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন শিশুটি হয়তো তার প্রথম জন্মদিনও পালন করবে পারবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এখনও দিব্যি বেঁচে আছে সে।

pop

তার বাবা-মা তার এই সুস্থতার জন্য বিশ্বাস এবং ফিলাডেলফিয়ার চিকিৎসকদের আন্তরিকতাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। জিয়ানার মা ক্রিসটেন মাসিয়ানতোনিও বলেন, সে এখন খুব ভালো আছে। তাকে প্রি-স্কুলে দেয়া হবে। এটার জন্য সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জিয়ানার বাবা জোই মাসিয়ানতোনিও বলেন, যখন আপনি শুরুতেই খারাপ কিছু জানতে পারবেন তারপর আপনি আপনার সন্তানকে চারপাশে ঘুরে বেড়াতে বা এটা সেটা করতে করতে দেখবেন, এর অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।

pop

পোপ ফ্রান্সিস জিয়ানার কপালে চুমু খেয়ে ক্রস সাইন একে আশীর্বাদ করছেন এমন ছবি মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল।

pop

মিরাকেল অন মার্কেট স্ট্রিট নামে পরিচিত রাস্তায় পোপের আশীর্বাদ পেয়েছিল জিয়ানা। সেখানে ভালো কিছু ঘটে বলেই বিশ্বাস করা হয়। যে হাসপাতালে জিয়ানা সুস্থ হয়েছে সেখানে ৫০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছে তার বাবা-মা।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।