মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যার ‘তালিকা' করেছেন এক শরণার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিস্তারিত তালিকা কোনো দেশ, উন্নয়ন সংস্থা বা সাংবাদিকরা করতে না পারলেও সে কাজ করেছেন মুহিব উল্লাহ নামে এক শরণার্থী। কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নেয়া আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করেছেন তিনি।

মুহিব উল্লাহরা গত বছর রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন চলাকালে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের এক নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মগদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা করা হয় কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে। সে সময় প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

jagonews

বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছে সাহায্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। তাদের হিসেব অনুযায়ী গত বছরের শুধু আগস্ট মাসেইই অন্তত ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে নিহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেনি তারা।

এ ক্ষেত্রে মুহিব উল্লাহদের নিজেদের তৈরি সাম্প্রতিক তালিকাটি অবশ্য বেশ তথ্যবহুল। ওই তালিকায় নিহতের নাম, বয়স, বাবার নাম, মিয়ানমারের ঠিকানা এবং কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল তার বিশদ বিবরণ রয়েছে। তাদের হিসেবে, রাখাইনে সেনা নির্যাতনে প্রাণ হারানো রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এতে অবশ্য শুধু গত আগস্টই নয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে আরেক সহিংসতায় নিহতদের কথাও যোগ করা হয়েছে।

নতুন এই তালিকার বিষয়ে মুহিব উল্লাহ বলেন, ‘আমি যখন নিজেই শরণার্থীতে পরিণত হই, তখন এ ব্যাপারে কিছু একটা করার তাগাদা অনুভব, ভবিষ্যতে এই তালিকা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার এক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে কাজ করবে।

উল্লেখ্য মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সেদেশের নাগরিক মনে করে না। তাদের মতে রোহিঙ্গারা অন্যদেশ থেকে আরাকানে আশ্রয় নেয়া অবৈধ ‘বাঙালি' বা ‘মুসলমান'।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

এমএমজেড/আরআইপি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।