যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমা দিয়ে ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৮

সম্প্রতি সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে স্কুল বাসে বোমা হামলা চালিয়ে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, ওই বোমা যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছিল। ছোট ছোট শিশুদের ওপর হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। সামরিক বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি মাসের ৯ তারিখে চালানো ওই বোমা হামলায় ৪১ শিশু নিহত হয়। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬১ জন।

সিএনএন বলছে, ৫শ পাউন্ড (২২৭ কিলোগ্রাম) ওজনের এমকে৮২ মডেলের ওই বোমাটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিরক্ষা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তৈরি।

বলা হচ্ছে, ওই বোমাটির সঙ্গে ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইয়েমেনের একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় হামলা চালানো বোমার সাদৃশ্য রয়েছে। ওই হামলায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয় এবং আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়। সৌদি জোটের তরফ থেকে জানানো হয় যে, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ হামলা চালানো হয়েছে এবং ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল তারা।

ওই বছর মার্চে ইয়েমেনের একটি মার্কেটে আরও একটি হামলা চালায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এতে অন্তত ৯৭ জন নিহত হন। এ হামলায় এমকে ৮৪ মডেলের বোমা ব্যবহার করা হয়; যা যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে।

অক্টোবরে ইয়েমেনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনা করে সৌদি জোটের কাছে এসব হামলায় ব্যবহৃত সামরিক প্রযুক্তি বিক্রি নিষিদ্ধ করেন তৎকালিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ওই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়।

সৌদি জোট কোথায় হামলা চালাবে সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেয় না যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা জোটের বিভিন্ন অভিযানে সমর্থন দেয়। ইয়েমেনে হামলার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জানান, আমি আপনাদের বলতে পারি যে, আমরা তাদের (সৌদি জোট) পরিকল্পনামাফিক যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছি, যেটাকে আমরা লক্ষ্যবস্তুর ধরন বলে থাকি। এটা আমাদের সামরিক পরিকল্পনার একটি অংশ। তবে তারা এ অস্ত্র দিয়ে কাদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে সেটা আমরা নির্ধারণ করে দেই না।

এসআর/টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।