ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেখা হলো ৩শ সম্পাদকীয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অবস্থান নিল দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। বৃহস্পতিবার সারাদেশের তিনশো’রও বেশি সংবাদপত্র একযোগে প্রকাশ ট্রাম্পবিরোধী সম্পাদকীয় প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের পাশে দাঁড়িয়েছে গার্ডিয়ানসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও।
বরাবরই সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনী প্রচারণা থেকেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও গণমাধ্যমকে আক্রমণ করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের ওপরও তার আক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়া দৈনিকগুলো নিজেদের সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্পবিরোধী সম্পাদকীয় ছাপার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য ডালাস মর্নিং নিউজ, দ্য ডেনভার পোস্ট, দ্য ফিলাডেলফিয়া ইনকোয়ারার এবং সিকাগো সান টাইমসের মতো জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলোও এ তালিকায় রয়েছে। বড় থেকে শুরু করে ছোট ছোট সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোও এ পদক্ষেপে অংশ নেয়।
সমালোচনা হলেই তার দোষ গিয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমের ওপর। সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো ভুয়া খবর প্রচার করছে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের শত্রু।
এরপরই ‘দ্য বস্টন গ্লোব’ পত্রিকার নেতৃত্বে একজোট হয় মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। মুক্ত সংবাদমাধ্যমের ওপর লাগামহীন আক্রমণের প্রতিবাদে একযোগে ট্রাম্পবিরোধী সম্পাদকীয় লেখার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে একটি নতুন সমীক্ষাও। সেখানে দেখা যায়, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির ৪৮ শতাংশ সমর্থকই মনে করেন যে, সংবাদমাধ্যম সমাজের শত্রু। সংবাদমাধ্যম বিরোধী এ ঘৃণা ছড়ানোর দায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। নিজেদের সম্পাদকীয়কে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে ‘দ্য বস্টন গ্লোব’।
নিউইয়র্ক টাইমস’র বক্তব্য, ‘সংবাদমাধ্যমকে সমাজের শত্রু বলা একটি ভয়ঙ্কর প্রবণতা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিজেকে সংযত করা উচিত।’
যদিও সংবাদমাধ্যমের এ নজিরবিহীন প্রতিবাদের পরও অনড় ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সকালটা তিনি শুরু করেন স্বভাবসিদ্ধ টুইট করেই। যেখানে তিনি বলেন, ‘ভুয়ো খবর ছাপানো সংবাদমাধ্যমই এখন দেশের বিরোধী শক্তি’।
আরএস/আরআইপি