বাজপেয়ির অন্তিম যাত্রায় জনস্রোত
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির অন্তিম যাত্রায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও পায়ে হেঁটে এ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান বাজপেয়ি। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে থাকা রাজনীতিকদের অন্যতম অটল বিহারী বাজপেয়ির মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ রাখা হয়েছিল কৃষ্ণ মেনন রোডে নিজের বাংলোয়। শুক্রবার সকালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির নতুন সদর দফতরে।
দুপুর দুইটা পর্যন্ত তার মরদেহ বিজেপির সদর দপ্তরেই রাখা হয়। বিকেল পাঁচটায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রাজঘাটের কাছে তার সমাধিস্থলে একটি স্মৃতিস্মারকও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। শেষযাত্রায় তাকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর রাস্তায় হাজির হয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঢল নেমেছে অগণিত সাধারণ মানুষেরও।
কাচের কফিনে শায়িত রয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ির দেহ। বাজপেয়ির মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বাজপেয়ীর বহু পুরনো সতীর্থ লালকৃষ্ণ আডবাণী, কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীসহ আরও অনেকেই।
দিল্লির যমুনা নদীর তীরে শেষকৃত্যের জন্য নেয়া হচ্ছে অটল বিহারি বাজপেয়ির মরদেহ। সেখানে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি সমাধি স্থলে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাজপেয়ির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলে, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এটা এমন যেন নিজের বাবাকেই হারিয়েছি। বাজপেয়ির শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে দিল্লির বহু রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
টিটিএন/এমএস