জনকণ্ঠের আবেদন খারিজ
একজন বিচারপতিকে বাদ দিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের আদালত অবমানার মামলার শুনানির জন্য করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার(এসকে)সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের মামলা শুনানির জন্য আবেদন করেন দৈনিক জনকণ্ঠের পক্ষে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। আজ উক্ত আবেদন আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বিভাগে উপস্থাপন করা হলে তা খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে জনকণ্ঠের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে জড়িয়ে জনকণ্ঠে মন্তব্য কলাম প্রকাশ করা হয়েছিল। তাই নিয়ম অনুযায়ী ঘটনা সংশ্লিষ্ট বিচারপতি ওই বেঞ্চে শুনানিতে না থাকার প্রার্থনা করেন জনকণ্ঠ কতৃপক্ষ। কিন্তু পত্রিকাটির পক্ষে করা ওই আবেদন আমলে না নিয়ে তা খারিজ করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিলের বেঞ্চ।
রায়কে কেন্দ্র করে সম্পাদকীয় লেখা ও প্রকাশের বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে জবাব দাখিলের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় দিন ছিল আজ। মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের প্রথমেই ছিল । সে হিসেবে সকাল ৯টায় শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ৩ আগস্ট সোমবার জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক হাজির হয়ে জবাবের জন্য প্রথমে তিন মাস এবং পরে দুই সপ্তাহ সময় চাইলে তা নামঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৯ আগস্ট রোববার দিন ঠিক করেন আদালত।
এর আগে একই আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে উপসম্পাদকীয় লেখা ও প্রকাশের বিষয়ে ৩ আগস্টের মধ্যে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে জবাব দাখিলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক পক্ষে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের কাছে আদালতের এ নির্দেশনার কথা জানান। তিনি বলেন, রোববারের মধ্যেই জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককেও ওই দিন হাজির থাকতে হবে।
গত ২৯ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে তলব করে স্বপ্রনোদিত আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তাদেরকে আজ ৩ আগস্ট হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ি ওই দিন তারা হাজির হয়ে জবাব দাখিলে সময় প্রার্থনা করেন।
গত ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা/পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে উপসম্পাদকীয় লেখেন স্বদেশ রায়। সে লেখায় সাকা চৌধুরীর আপিল মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কথা উল্লেখ করা হয়।
২৯ জুলাই সাকা চৌধুরীর আপিলেও মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার রায়ের পরপরই জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে তলব করে আদেশ দেয় আদালত।
এফএইচ/এএইচ/এমএস