ব্রিটেনে যাত্রীকে নিকাব খুলতে বললেন বাসচালক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০১৮

‘সন্ত্রাসবাদী’ সন্দেহ হওয়ায় ‘বাসে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন’ বলে ব্রিটেনে এক নারী বাসযাত্রীকে মুখের ওপর থেকে নিকাব সরাতে বললেন চালক।

জানা গেছে, দুই মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে ‘ফার্স্ট বাস’ নামের একটি পরিবহনে চড়ে ইস্টন থেকে ব্রিস্টল সিটি যাচ্ছিলেন ২০ বছর বয়সী ওই নারী। বাসে ওঠার সময় বাসচালক তাকে নিকাব খুলতে বলেন। তখন তিনি এর কারণ জানতে চাইলে বাসচালক বলেন, ‘পৃথিবীটা বিপজ্জনক। মুখ ঢেকে বাসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে জঙ্গিবাদের যে কেউ ওঠতে পারে।’

এসব মন্তব্যে সাড়া না দেয়ায় বাসচালক পুরো যাত্রাপথে অনবরত আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকেন। বাসের অন্য যাত্রীদের উদ্দেশ করে বাসচালক আরও বলেন, ‘সবার উচিত পাশের লোকটির মুখটা দেখে নেয়া। কেন তিনি অন্যদের মতো নন। ২০১৮ সালে এসে এমন পোশাক পরা উচিত নয়।’

এসময় যাত্রীদের একজন ওই নারীর পক্ষ নিয়ে বলেন, বুঝতে পারছি না, উনি কী ও কেন পরবেন, তা নিয়ে আপনার কীসের মাথাব্যথা? এর জবাবে বাসচালক বলেন, এটা আমায় ভাবতে হচ্ছে, কেননা পৃথিবীটা বিপদজনক।

বিড়ম্বনার শিকার সেই নারীটি বাসচালকের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সঙ্গে দুই মাসের শিশুকে দেখেও আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলে সন্দেহ করা একেবারেই অমূলক ব্যাপার।

তিনি বলেন, চালক তাকে উদ্দেশ্য করে ‘বিপদজ্জনক’ মন্তব্য করেন। তারপর আমার মুখ দেখতে চান। উনি (চালক) আমাকে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী বলেও মন্তব্য করেন। পুরো যাত্রাপথ এ নিয়েই কথা বলতে থাকেন। উনি ধরে নেন, আমি বাসে বিস্ফোরণ ঘটাব। কিন্তু সেটা কী করে সম্ভব, আমার সঙ্গে বাচ্চা আছে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ করা হলে ফার্স্ট বাস পরিবহন কর্তৃপক্ষ ওই নারীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের এক চালক নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন। এতে ওই যাত্রীর বিড়ম্বনার জন্য আমরা তার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। ওই চালক অসহিষ্ণু আচরণ করেছেন যা আমাদের গভীর বিশ্বাসে লালিত মূল্যবোধের একেবারে পরিপন্থী। সবাইকে নিয়েই আমাদের প্রতিষ্ঠান। ফার্স্ট বাস দেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিচারে কাস্টমার বা কর্মীদের স্বাগত জানায়।

বাসচালকের সঙ্গে অন্য এক যাত্রীর কথপোকথনের ভিডিও

এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।