‘পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানিয়েছেন মমতা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮

‘দিল্লিকে লন্ডন বানানোর কথা বলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে পারেননি। অমেঠিকে সিঙ্গাপুর করতে ব্যর্থ হয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ শনিবার কলকাতায় এক সমাবেশে মমতার সমালোচনা করে এ মন্তব্য করেন ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির যুব শাখা যুব মোর্চার সভাপতি পুনম মহাজন।

তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) নেতাদের পরিবর্তন হয়েছে। সারদা-নারদায় জড়িয়েছেন তারা। মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয়ের মধ্যে মমতা নেই। এ রাজ্যেই নারীদের উপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হচ্ছে। পুকুর ভরাট করছেন মমতার বিধায়করা। অবাধে চলছে জমি দখল।’

তৃণমূলের ‘মা মাটি মানুষ’ স্লোগানকে কটাক্ষ করে পুনম মহাজন বলেন, মানুষের পাশে নেই তৃণমূল। মা মাটি মানুষ নয়, বরং মমতা অমানুষ। টিএমসি-র অর্থ টেরর মেকিং মেশিন।

অাসামের নাগরিকপঞ্জি প্রসঙ্গে পুনম মহাজন বলেন, ‘দিল্লিকে লন্ডন বানানোর কথা বলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল; পারেননি। অমেঠিকে সিঙ্গাপুর করতে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী, সেটাও হয়নি। তবে পশ্চিমবাংলাকে বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলেছেন মমতা।’

যুব মোর্চার এই সভাপতি বলেন, রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি হচ্ছে। তরুণরা নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নকে আদর্শ করে এগিয়ে যেতে চান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রমোদ মহাজনের কন্যা পুনম মহাজন। তার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র, স্বামী বিবেকানন্দের নামও ছিল নরেন্দ্র। ভারতকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে চাইতেন বিবেকানন্দ। সেই স্বপ্ন দেখেন মোদিও।

‘অাসামের নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে দেশদ্রোহিতার কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্মের শক্তি উনি জানেন না। পদ্মের এক একটা পাপড়িই ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে যথেষ্ট।’ সভায় ব্যাপক জনসমাগম দেখে পুনম মহাজন বলেন, ‘আভি তো ঝাঁকি হ্যায়, ২০১৯-২১ বাকি হ্যায়।’

যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিত্ সরকার বলেন, রাজ্যের তরুণরা দু’টাকা কেজি দরের চাল ভিক্ষা চান না। তারা চান কর্মসংস্থান। চাকরি চায় তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি কাজ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।