টুইন টাওয়ারে হামলাকারীর মেয়েকে লাদেনের ছেলের বিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৮

সাবেক আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেল হামজা বিন লাদেন বিয়ে করেছেন। তার পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, ৯/১১য়ের সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয়া বিমানের শীর্ষ ছিনতাইকারী মোহাম্মদ আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে হামজা বিন লাদেনের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসামা বিন লাদেনের সৎ ভাই আহমেদ এবং হাসান আল আত্তাস। তারা জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস হামজা এখন আল কায়েদার শীর্ষপদে আছেন। সে তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধ পরিকর। সাত বছর আগে পাকিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন।

হামজা এখন আফগানিস্তানে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর তাকে একজন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাকে আল কায়েদার বর্তমান নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির ছত্রছায়ায় তার পিতার উত্তরসূরী বলে মনে করা হয়।

লাদেনের সৎ ভাই হাসান বলেন, হামজা বলেছিল, সে তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নেবে। আমি তার কথা আর শুনতে চাই না। তার সাথে দেখা হলে আমি বলতাম আল্লাহ যেন তোমাকে পথ দেখান। তুমি যা করছো তা নিয়ে দু'বার ভাবো। তুমি তোমার আত্মার এক ভয়ংকর অংশে পা ফেলছো, তোমার বাবার পথ নিও না।

ওসামা বিন লাদেনের জীবিত তিন স্ত্রীর মধ্যে খাইরিয়া সাবারের পুত্র হামজা বিন লাদেন। পাকিস্তানের বৃহত্তম সেনাঘাঁটির কাছেই অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেন যখন নিহত হন তখন তার সঙ্গেই ছিলেন খাইরিয়া।

আহমেদ আল আত্তাস বলেন, আমরা শুনেছি যে, সে মোহাম্মদ আত্তার মেয়েকে বিয়ে করেছে। আমরা জানি না সে কোথায় আছে। তবে সে হয়তো এখন আফগানিস্তানে আছে।

গত দুই বছর ধরে হামজা কোথায় আছে তা জানার চেষ্টা করে যাচ্ছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। লাদেনের অনুসারীদের অন্য কারো চেয়ে হামজাই সবচেয়ে বেশি উদ্দীপ্ত করতে পারে বলে মনে করা হয়।

মিসরীয় নাগরিক আত্তার মেয়েকে হামজার বিয়ে করার বিষয়টি ৯/১১ হামলার সঙ্গে যুক্ত আল কায়েদার আবারও সুসংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।

ওসামা বিন লাদেনের আরেক ছেলে খালিদ গত বছর অ্যাবোটাবাদে মার্কিন অভিযানে নিহত হয়। অপরদিকে, তার তৃতীয় পুত্র সাদ ২০০৯ সালে আফগানিস্তানে একটি ড্রোন হামলায় নিহত হন।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।