সৌদি-ইরান সম্পর্কের বরফ গলছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৮

সৌদি আরবে ইরানের স্বার্থ দেখাশোনা করার লক্ষ্যে রিয়াদে একটি অফিস চালুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তেহরান। মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে চিরবৈরী এ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে। এর মাঝেই শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র রিয়াদে দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় অফিস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা পানাকে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমি অফিস চালুর ব্যাপারে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এই কাজে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাও নাকচ করবে না তেহরান। ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে সৌদি আরব ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। কাশেমি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অধিকাংশ সমস্যার উৎপত্তি হয়েছে সৌদি আরব থেকে। অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে সৌদি আরব আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন, সৌদি আরবের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থাপন ও ইরানের ব্যাপারে তার বিশ্লেষণ; এসব কারণে সৌদি আরব বিভ্রমের মধ্যে রয়েছে।

সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে ভবিষ্যতে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হবে কি-না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তেহরানের এই কর্মকর্তা বলেন, আট মাস আগে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরবে ইরানের স্বার্থ দেখাশোনা করছে বার্ন।

“তবে গত দুই সপ্তাহে সেখানে বেশ কিছু উন্নতি ঘটেছে এবং আমি বিশ্বাস করি, সেখানে ইরানের স্বার্থ বিভাগের অফিস চালু হবে এবং শিগগিরই তা কাজ শুরু করবে।”

ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে উত্তেজনার শুরু হয় ২০১৬ সালের শুরুর দিকে। ওই বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার দায়ে সৌদি আরব দেশটির শিয়া মতাবলম্বী নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।

এ ঘটনার জেরে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে নিযুক্ত সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়। পরে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের মাধ্যমে।

সূত্র : তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।