পারমাণবিক ইস্যুতে মার্কিন পদক্ষেপ ভীতিকর : উ. কোরিয়া
পিয়ংইয়ং পারমাণবিক কর্মসূচি আবারো বৃদ্ধি করেছে বলে খবর আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ভীতিকর বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো। পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উ. কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ঐতিহাসিক বৈঠকে পারমাণবিক কর্মসূচি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনতে সম্মত হয় পিয়ংইয়ং। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এদিকে জাতিসংঘ বলছে, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে এক আঞ্চলিক ফোরামে পম্পেও বলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি চূড়ান্ত এবং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে উত্তর কোরিয়ার ওপর কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে পিয়ংইয়ং বর্তমানে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে আছে।
আরও পড়ুন : পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করেনি উত্তর কোরিয়া
পম্পেও বলেন, তিনি প্রত্যাশা করেন সব দেশ এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে। উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার শ্রমিককে দেশে প্রবেশের সুযোগ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় রি ইয়ং বলেন, গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের আলোচনায় করা অঙ্গীকার দৃঢ়ভাবে পালন করছে পিয়ংইয়ং। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নেতার অঙ্গীকার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং তারা আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে; যা ভীতিকর।
শনিবার রি ইয়ং এবং মাইক পম্পেও খুব অল্প সময়ের জন্য মুখোমুখি হন। এসময় তারা করমর্দন, হাসি বিনিময় করেন এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। শনিবারের বৈঠকেও মার্কিন এই প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি চিঠি কিম জং উনের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে চিঠিতে কী ছিলো সেবিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/জেআইএম