দুই তুর্কি মন্ত্রীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
তুরস্কের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্কে দু'বছর ধরে এক মার্কিন ধর্মযাজককে আটক করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই যাজকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়-যা মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করছে। তাকে তুরস্কে দু'বছর কারাগারে রাখার পর এখন গৃহবন্দী রাখা হয়েছে।
তুরস্কের বিচারমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোটভুক্ত কোন মিত্র দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে-এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অভূতপূর্ব। কিন্তু তুরস্কের বিচারমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলায় ঠিক তাই ঘটলো।
মার্কিন সরকার তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ এনেছে। মার্কিন ভাষ্যমতে, ধর্মজাযক অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে ২০১৬ সাল থেকে আটকে রাখার পেছনে এই দুজন মন্ত্রী মূল ভূমিকা পালন করেছেন। ব্রানসনের বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযোগ- তিনি কুর্দি বিদ্রোহী দলকে সমর্থন করেন। তুরস্কে সম্প্রতি যে ব্যর্থ অভ্যুত্থান হয়েছে তার সাথে এই গোষ্ঠী জড়িত বলেও তুরস্ক সরকার মনে করে।
তুর্কী পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলছেন, এই শত্রুতামূলক পদক্ষেপের জবাব দেয়া হবে। এরদোয়ান সরকারের সমর্থক কলাম লেখকরা এরই মধ্যে তুরস্কে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়ার ডাক দিয়েছেন। সেটা যদি ঘটে, তাহলে এই দুই ন্যাটো মিত্রদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা চরম হুমকির মুখে পড়বে।
টিটিএন/এমএস