রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে মিয়ানমারের কমিশন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৮
ছবি-ফাইল

সহিংসতাকবলিত রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেছে মিয়ানমার সরকার। সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলের অভিযোগে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার দাবির মুখে এ তদন্ত কমিশন গঠন করা হলো। চার সদস্যবিশিষ্ট এ কমিশন দুজন স্থানীয় ও দুজন বিদেশি সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়েছে। সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দফতরের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনে আন্তর্জাতিক সদস্য হিসেবে আছেন ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোসারিও মানালো ও জাতিসংঘে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওসিমা। ৮২ বছর বয়সী মানালোকে কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন আইনজীবী মিয়া থেইন ও সাবেক জাতিসংঘ কর্মকর্তা অর্থনীতিবিদ অং তুন থেট।

রাখাইন সংকটে মিয়ানমারের জবাবদিহিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে গত বছর অং তুন থেটকে নিয়োগ দিয়েছিল দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে, রাখাইনে আরসার হামলার পর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে তদন্ত করবে এই স্বাধীন কমিশন। রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশলতা, মীমাংসা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার জাতীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযানকে জাতিগত নির্মূলের জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যা পাঠ্যবইয়ে স্থান দেয়ার মতো।

তবে সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জাতিগত নির্মূলের অভিযান অস্বীকার করে আসছে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার। দেশটি বরাবরই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।