পার্ট টাইম জব করতে চাইলে : প্রথম পর্ব

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৫

লেখাপড়া বা চাকরির ফাঁকে বাড়তি টাকা উপার্জন করতে অনেকে পার্ট টাইম জব করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে ফুল টাইম কাজ না পাওয়ায় কিংবা চাকরির নির্ধারিত সময়ের পর পার্ট টাইম জব করা যায়। কখনো বা উপার্জন পুরোপুরি হচ্ছে না বলে মনে হলেও পাশাপাশি অন্য অনেক কাজ করা যায়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ

ওয়েবসাইট ডিজাইন
বর্তমানে ওয়েবসাইট ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা। এই চাহিদা পূরণে হতে পারেন ওয়েবসাইট ডিজাইনার। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারে বিভিন্ন মাধ্যমে। এর মাধ্যমে ভালো অঙ্কের বাড়তি আয় সম্ভব।

সাংবাদিকতা
পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে সাংবাদিকতা করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকার ফিচার পাতায় কাজ করেও উপার্জন করতে পারেন বাড়তি টাকা।

উপস্থাপনা
আপনি যদি ভালো উপস্থাপক হন, তবে আর দেরি কেন? আপনি শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী যা-ই হন না কেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই। সময় বুঝে আপনিও হতে পারেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। এক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে পারেন টিভি, বেতার ও ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট প্রতিষ্ঠানে।

সংবাদ পাঠ
আপনি শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী যাই হন না কেন, তাতে কী আসে যায়। হতে পারেন সংবাদ পাঠক। বিভিন্ন টেলিভিশন ও বেতারে সংবাদ পাঠ করে বাড়তি আয় করতে পারেন আপনিও। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন বিখ্যাত সংবাদ পাঠক।

লেখালেখি
লেখালেখি দারুণ একটি অভ্যাস। সংবাদপত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ম্যাগাজিন, ছোটকাগজ ও প্রকাশনা সংস্থায় যোগাযোগ করে লেখা পাঠান। লেখার প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি উপার্জনও আসতে পারে। চিত্রনাট্য লিখেও উপার্জন করতে পারেন। অর্থের পাশাপাশি পরিচিতিও বাড়বে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সার লেখক হিসেবে কাজ করতে পারেন। সময় কাটবে, মস্তিষ্কের ব্যায়াম হবে এবং বাড়তি আয়ও আসবে।

রান্না
রান্নায় হাত পাকা অনেকের। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা। যারা ছাত্রাবাস কিংবা মেসে বসবাস করেন। তাদের তো প্রায়ই রান্না করতে হয়। কিংবা ব্যাচেলর চাকরিজীবী যারা। তারা পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি স্থানীয় কোনো রেস্টুরেন্টে কিছু সময়ের জন্য রান্না করতে পারেন। বিদেশে যদি এমন কাজ করে তরুণ-তরুণীরা আয় করতে পারেন তাহলে আমাদের দেশে কেন নয়?

শিক্ষকতা
শিক্ষকতার সুযোগ আমাদের দেশেও অনেক। কারণ দেশের প্রায় প্রতিটি শহরেই রয়েছে কোচিং সেন্টার, প্রশিক্ষণ একাডেমি, কিন্ডার গার্টেন, চাইল্ড কেয়ার হোম, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি সময় বের করতে পারলেই বাড়তি আয়ের দরজা খুলে যাবে। এটি ফুল টাইম চাকরির পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের দারুণ সুযোগ।

আবৃত্তি
আবৃত্তি একটি সৌখিন পেশা। আপনি ভালো আবৃত্তি করলে যোগাযোগ করুন বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজকদের সাথে। অবসরে আবৃত্তি করে বাড়তি কিছু পেলে ক্ষতি কী? বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিভিন্ন টেলিভিশন ও বেতারে দিবসভিত্তিক আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেও আয় করতে পারেন। কিংবা আবৃত্তির অডিও অ্যালবাম করেও বাজারজাত করতে পারেন।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।