পাকিস্তানের সুন্দরী ৬ নারী রাজনীতিবিদ
রাজনীতি কি শুধু পুরুষরা করবে? এ প্রশ্নটি সবাই করে থাকে। কিন্তু এ কথাটি কি এখন আদৌ বলার দরকার আছে। উত্তর, নেই। কারণ, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে। নারীরা এখন শুধু আর গৃহস্থালির কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ঘর ছেড়ে বন্দী জীবন থেকে বেরিয়ে এসেছে।
নারীরা প্রমাণ করে দেখিয়েছে, তারাও পুরুষদের তুলনায় অনেক ভালো কিছুই করতে পারে। এক সময় মনে করা হতো-নারীরা হলো সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণির। কিন্তু আসলে তারা এরকম কখনওই ছিল না। তারা সবসময়ই সমাজের পিলার হিসেবে কাজ করেছে।
এখন নারীরা রাজনীতি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, সেবা, স্বাস্থ্যসহ নানাক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। অন্যান্য দেশে নারীদের অগ্রগতির পাশাপাশি বেশ অগ্রগতি হয়েছে পাকিস্তানি নারীদেরও। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য পাকিস্তানের শীর্ষ আকর্ষণীয় ৬ নারী রাজনীতিবিদের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
সুমাইরা মালিক
তিনি একজন বিখ্যাত পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও সক্রিয় মানবাধিকার কর্মী। তিনি মালিক আল্লাহইয়ার খানের মেয়ে ও কলাবাগের নওয়াব বলে পরিচিত আমির মোহাম্মদ খানের নাতনি। তিনি পাকিস্তানি ওইসব নারীদের মধ্যে অন্যতম যারা নিজেদের বেশ পরিপাটি রাখতে পছন্দ করেন। পাকিস্তানি ঔতিহ্যবাহী পোশাকে বেশ চিত্তাকর্ষক তিনি।
পাকিস্তানি রাজনীতিতে তার বেশ প্রভাব রয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সরদার ফারুক খান লেঘারি সম্পর্কে তার চাচা।
হিনা রাব্বানি খার
তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে কমবয়সী ও প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মেধা ছাড়াও তিনি সারাবিশ্বে তার নিজস্ব স্টাইল ও সৌন্দর্যের কারণে বেশ পরিচিত। বিশ্বে নারী রাজনীতিবিদের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি প্রখ্যাত পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতিবিদ গুলাম নুর রব্বানির মেয়ে। পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী গুলাম মুস্তফা খরের ভাগনী তিনি।
কাশমালা তারিক
সাহসী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত কাশমালা। তিনি পাঞ্জাবের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। কাশমালা তারিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কায়েদে আযম)। তিনি এ পর্যন্ত দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং ১০ বছর এ পদে ছিলেন।
তিনি একজন সক্রিয় নারী অধিকারকর্মী। পোশাকে নিজস্বতা ও অসাধারণ বক্তব্যের জন্য বিখ্যাত এই গ্ল্যামারাস নারী রাজনীতিবিদ।
আলিজেহ ইকবাল হায়দার
পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল’ ও হিউম্যান রাইটস ল’র একজন বিশেষজ্ঞ আলিজেহ ইকবাল। ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সিন্ধু প্রদেশের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক আইন প্রণেতা ইকবাল হায়দারের মেয়ে আলিজেহ পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর একজন মুখপাত্র। বাবার মানবাধিকার কর্মকাণ্ড চলমান রাখার স্বপ্নে পাকিস্তানি রাজনীতিতে যোগ দেন এই সুন্দরী নারী।
আইলা মালিক
পাকিস্তানি নারী রাজনীতির আরেক চিত্তাকর্ষক আইলা মালিক। তিনি পাকিস্তানির সবচেয়ে কমবয়সী সুন্দরী নারী রাজনীতিবিদ। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সরদার ফারুক লেঘারির ভাগনী ও সাবেক ফেডারেলমন্ত্রী সুমাইরা মালিকের বোন। ইমরান খানের কাজ ও আত্মত্যাগে মুগ্ধ হয়ে তেহরিক-এ-ইনসাফে যোগ দেন এই নারী।
হিনা পারভেজ বাট
তিনি শুধু পাকিস্তানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারী রাজনীতিবিদই নন, একজন তরুণ উদীয়মান ডিজাইনার। লাহোর ইউনির্ভাসিটি ম্যানেজম্যান্টে সায়েন্সেস (এলইউএমএস) থেকে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত এই নারী গ্র্যাজুয়েট বাল্যবিবাহ ও দেশের অভ্যন্তরীণ সহিংসতা বন্ধ করে পাকিস্তানে আমূল পরিবর্তন আনতে চান। এই তরুণ রাজনীতিবিদকে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখতে অসাধারণ লাগে। এমনকি পশ্চিমা পোশাকেও।
মরিয়ম নওয়াজ
পাকিস্তানে দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের রাজনীতিতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন এই সুন্দরী নারী রাজনীতিবিদ। দেশের রাজনীতিতে অন্যতম আলোচিত এই নারী বর্তমানে দুর্নীতির মামলায় আটক হয়ে কারাবন্দি জীবনযাপন করছেন।
সূত্র: ক্যাচনিউজ.কম
এসআর/টিটিএন/এমএস