লোক দেখানো নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় হুন সেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮

কম্বোডিয়ায় রোববারের সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র শাসনের ক্ষমতা হাতে রেখে দেয়ার সব ব্যবস্থা করে রেখেছে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা হুন সেন। এ নির্বাচন থেকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণায় সে শঙ্কা আরও পোক্ত হয়েছে।

১৯৯৩ সালের জাতিসংঘের সহযোগিতায় আশা জাগানিয়া প্রথম নির্বাচনের পর এবার দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটিতে। এ নির্বাচনে আশি লাখেরও বেশি মানুষ ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।

১৯৯৩ সালে কম্বোডিয়াতে যখন নির্বাচন হয় তখন দেশটি গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত। আর ওই দুরাবস্থার জন্য দায়ী করা হয় মাওবাদী নেতা খেমার রুজকে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সময়ে তার নেতৃত্বে যে গৃহযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে গেছে কম্বোডিয়া তাতে দেশটির এক-চতুথাংশ মানুষের মৃত্যু হয়।

এরপর ১৯৮০ সালে ভিয়েতনামের কম্বোডিয়া আক্রমণে খেমার রুজের পতন হলে ক্ষমতার পালাবদলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন হুন সেন। ১৯৯৮ সাল থেকে কম্বোডিয়াতে যতগুলো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার সবগুলোতে জিতেছে ৬৫ বছর বয়সী এই হুনের দল কম্বোডিয়ার পিপলস পার্টি (সিপিপি)। হুন নিজেও ক্ষমতায় রয়েছেন ৩৩ বছর ধরে। আর তিনি সবসময়ই বলে আসছেন তিনি বা তার দল যদি ক্ষমতায় না থাকে তবে কম্বোডিয়া আবার সেই গৃহযুদ্ধের যুগে ফিরে যাবে।

কিন্তু ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি আর তরুণ প্রজন্মের খেমার রুজের দুঃশাসনের স্মৃতি না থাকার কারণে ২০১৩ সালের নির্বাচনে ৪৪ শতাংশ ভোট পায় কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি)। গেল বছরের স্থানীয় নির্বাচনেও ভাল ফল করে সিএনআরপি।

combodia-(2)

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সিএনআরপির এই সফলতার পর ধরপাকড় শুরু করেন হুন সেন। সিএনআরপিকে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার বিষয়েও অভিযুক্ত করা হয়।

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ দলটির এক নেতা গ্রেফতার হন। পরে সুপ্রিমকোর্ট দলটিকে নিষিদ্ধ করে।

রোববারের এ নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যম ও এনজিও’র বিরুদ্ধেও কঠোর হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিরোধী দলের অনেকা নেতা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

লোক দেখানো নির্বাচন
সিএনআরপি না থাকলেও সরকার বারবারই দেখানোর চেষ্টা করছে এ নির্বাচনে আরও ১৯টি দল রয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এ ১৯টি দলের অনেকগুলোই আসলে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ও নির্বাচনকে সামনে রেখে জন্ম।

বিরোধী দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়ার পর কর্তৃপক্ষ বলছে, কেউ যদি কাউকে ভোট না দিতে প্ররোচিত করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র : এএফপি।

এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।