ফের আলোচনায় থাই গুহার সেই স্বেচ্ছাসেবকরা
লাওসে বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর বন্যা কবলিত এক শিশুকে উদ্ধারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় বন্যার পানি ও মাজা সমান কাদার ভেতর দিয়ে হেঁটে একটি শিশুকে উদ্ধার করে আনছেন কয়েকজন। বন্যার পর প্রাণে বেঁচে গেলেও কিছু না খেয়ে কয়েকদিন কাটিয়ে দেয়া শিশুটির চোখে-মুখে ছিল ভয়ের ছাপ।
এই শিশুটিকে যারা উদ্ধার করেছে তারা থাইল্যান্ডের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। লাওসে বন্যা কবলিত ওই শিশুটিকে ছাড়াও আরও ১৩ জনকে উদ্ধার করেছে তারা। শুক্রবার তাদের উদ্ধারের এই ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তা ভাইরাল হয়।
ভারী বর্ষণে ২৫ জুলাই লাওসের জি-নামোনি বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর বন্যার পানি থেকে বাঁচতে সোমবার তারা সবাই পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।
বন্যার পানির মধ্যে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে উদ্ধারকারীদের তাদের কাছে পৌঁছাতে হয়। আর যে জলস্রোতের মধ্যে উদ্ধারকারীদের হাঁটতে হয়েছে সেখানে তাদের সামনে বার বার ভেসে এসেছে বন্যার পানিতে উপড়ে যাওয়া গাছ, ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদি। যা তাদের চলার পথকে করেছে আরও কঠিন।
কয়েকদিন দিন আগে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধারেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এই দলটি। আর এবার তারা এগিয়ে গেল প্রতিবেশি লাওসের বিপদে।
লাওস বর্তমানে যে বিপদের মুখে রয়েছে তা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত হাতিয়ার ও অর্থ তাদের নেই।
উদ্ধার হওয়া শিশুটি প্রসঙ্গে উদ্ধারকারীদের একজন কেংকার্দ বংকাওং বলেছেন, শিশুটির বয়স মাত্র চার মাস। তার জ্বর নেই কিন্তু কাঁদছিল, হতে পারে ঠান্ডার কারণে। বাচ্চাটা কাঁদছিল আর ওর চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। আসলে ধেয়ে আসা পানির ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্যের ভয় তাদের মন থেকে যায়নি।
লাওসের এ বন্যায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন নিখোঁজ রয়েছেন ১৩১ জন।
সূত্র : এএফপি।
এনএফ/এমএস