সংলাপে না বসলে সংঘাতের দিকে যাবে দেশ


প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৪

বিএনপির সঙ্গে সরকারের সংলাপে না বসলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এখন যত কথাই বলুন না কেন বিএনপির সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। যদি তারা সংলাপ করতে না চান অতীতে যেমন তাদের মূল্য দিতে হয়েছে, ঠিক এবারও মূল্য দিতে হবে। আবারও দেশে সংঘাত সৃষ্টি হবে।

তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বে দুর্নীতির রেকর্ড গড়েছে। তাদের দুর্নীতির কারণে পদ্মাসেতুর অর্থায়ন ফিরিয়ে নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। শেয়ারবাজার দূর্নীতির প্রতিবেদন তৈরি করার পরও দলীয় লোকজন এতে জড়িত থাকায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন এরা এত শক্তিশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আওয়ামী লীগের লোকজনই লুট করে নিয়ে গেছে।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, কুইক রেন্টালের নামে প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যে টাকার বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেটে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের টাকা বেড়ে গেছে। লোক মুখে কথা হচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বাড়ি কিনছেন। এরপরও যখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দুর্নীতির কথা বলেন তখন দেশের মানুষ বিষয়টিকে হাস্যকর বক্তব্য হিসেবে গ্রহণ করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ ও অনৈতিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জনগণের ম্যানডেড ও শক্তি ছিল না বলে ১৮৫ জনের বহর নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেশের জনগণের ম্যানডেড ছিল বলে তিনি একাই গিয়েছেন। আর শ্রীলঙ্কা থেকে গিয়েছেন ২৫ জন, নেপাল থেকে গিয়েছেন মাত্র ১৫ জন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও সাংবাদিক শফিক রেহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।