আনুষ্ঠানিক ফলের অপেক্ষা, উদযাপনে মাতোয়ারা ইমরান সমর্থকরা
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ২৩ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেনি পাক নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, দেশটির নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান।
ফল প্রকাশে বিলম্বের জন্য ইমরান খানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব এবং কারচুপির অভিযোগ এনেছে।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন বলছে, বেসরকারিভাবে ভোট গণনা শেষে ফলাফলে ইমরান খানের তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) ১১৯টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬১টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে।
এদিকে, ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা আনুষ্ঠানিক ফলাফলের আগেই বিজয় উদযাপন শুরু করেছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে দলটির প্রধান ইমরান খান এখনো কোনো বিবৃতি দেননি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারেও কোনো বার্তা দেননি তিনি।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানের মসনদে বসছেন ইমরান খান?
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ৭৬টি সংসদীয় আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমরানের দল পিটিআই ৪৬টি আসনে এগিয়ে আছে।
ইমরানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজ পেয়েছে ১৭ টি আসন। অন্যদিকে, বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৭টি, গ্রান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালিয়েন্স (জিডিএ) একটি এবং মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল (এমএমএ) পেয়েছে ২ টি আসন। এছাড়াও তিনটি আসনে জয়লাভ করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৭২ আসনের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ হাজার ৪৫৯ প্রার্থী। এরমধ্যে শুধুমাত্র পাঞ্জাব থেকেই এক হাজার ৬২৩ জন, সিন্ধ থেকে ৮২৪ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ৭২৫ জন ও বেলুচিস্তান থেকে ২৮৭ জন।
এছাড়া দেশটির দুটি আসন এনএ-৬০ ও এনএ-১০৮ এ নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশটির এগারোতম সাধারণ নির্বাচনে ১০ কোটির বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
কোনো একক দল ক্ষমতায় যেতে হলে থলেতে ভরতে হবে কমপেক্ষ ১৩৭ আসন; তবেই দেশ শাসনের জন্য সরাসরি সরকার গঠন করতে পারবে। এছাড়া কোনো দলই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারে তাহলে ঝুলে যাবে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। দ্বারস্থ হতে হবে ছোট-খাট দলগুলোর; জোট গঠন করে তবেই মসনদে যেতে হবে।
এসআইএস/পিআর