লতিফের এমপিপদ নিয়ে শুনানি ২৩ আগস্ট


প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৫

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এমপিপদ বাতিলের বিষয়ে আগামী ২৩ আগস্ট রোববার শুনানির দিন চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট শাখাকে রোববারের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীকে চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, লতিফ সিদ্দিকীর এমপিপদ থাকবে কি-না সে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আগামী ২৩ আগস্ট শুনানির দিন চূড়ান্ত করেছে ইসি। সেই জন্য আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীকে রোববারের মধ্যে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। কারণ সে দিন দু’পক্ষের কথা শুনে চূড়ান্ত রায় দেবে নির্বাচন কমিশন।

ইতোমধ্যে শুনানিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে পাঠাতে যাওয়া চিঠিটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগের নজির, আইন ও সংবিধান দেখে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের স্পিকারের পাঠানো চিঠি বিশ্লেষণ করে তার জবাব পাঠাতে গত ২ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ শেষদিনে এমপি লফিত সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থা স্পষ্ট করে ইসির কাছে জাবাব দেন। এখন দু’পক্ষের চিঠি বিশ্লেষণ করে আগামী ২৩ আগস্ট শুনানির দিন চূড়ান্ত করে কমিশন। শুনানি শেষে ওইদিনই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে বলে ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান।

ইসির চিঠির জবাবে গত ২ আগস্ট আগামী লীগ সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও), ১৯৭২ এর ১২(১) ধারা এবং জাতীয় সংসদের কার্য-প্রণালী বিধির ১৭৮ বিধি উল্লেখ করে জানায়, যেহেতু তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেহেতু তার এমপি পদে থাকার আইনগত অধিকার নেই। তবে লতিফ সিদ্দিকী জবাবে বলেছে, তাকে বহিষ্কার আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত ভুল। একই সঙ্গে তার বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে ইসিকে পুনরায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে ফেরত পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছেন বহিষ্কৃত এ প্রভাবশালী নেতা।

এদিকে ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, দু’পক্ষের বক্তব্য পাওয়ায় ইসি এখন আইন মেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে কমিশন।

তারা আরো জানান, সপ্তম সংসদে বিএনপি সাংসদ মো. আখতারুজ্জামানের সংসদ সদস্য পদও একই পদ্ধতিতে বাতিল করা হয়েছে। এবার লতিফ সিদ্ধিক বিতর্ক নিষ্পত্তির বিষয়ে স্পিকারের অনুরোধ পাওয়া ইসি দু’জনের বক্তব্য নিয়েছে। শুনানি শেষে সদস্য পদ বাতিলে করা হলে সে সিদ্ধান্ত আবার স্পিকারকে জানানো হবে। আসন শূন্য করতে স্পিকারের অনুরোধ পেলে উপ-নির্বাচনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে ইসি।

জানা যায়, দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের দীর্ঘ ৮ মাস পর গত ৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীকে জানায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ধর্ম নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব ও দল থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীকে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য পদও হারাতে হচ্ছে বলে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়।

লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন।

# লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে বেকায়দায় ইসি


এইচএস/আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।