বিদ্রোহী ৬ নারী চিকিৎসককে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৮

মিয়ানমারের শাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে সশস্ত্র লড়াইরত দেশটির শান রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) ছয় নারী চিকিৎসককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। শান রাজ্য থেকে তাদের তুলে নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে টিএনএলএ।

তবে শান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই সংগঠনের ছয় নারী চিকিৎসককে অপহরণ এবং হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী। টিএনএলএ বলছে, ১১ জুলাই বিকেলের দিকে শান রাজ্যের ন্যামখাম শহরে সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী ওই নারী চিকিৎসকদের গ্রেফতার করে। সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর এক সদস্য মারা যায়।

শুক্রবার মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ৮ মরদেহ ও তিনটি বন্দুক উদ্ধার করেছে। “সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলের নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনী নেয়ার পর আট মরদেহ ও তিনটি বন্দুক পেয়েছে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃত মরদেহের পরনে টিএনএলএ বিদ্রোহীদের ইউনিফর্ম ছিল। সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও তিন পুরুষ। সংঘর্ষস্থলেই এসব মরদেহ দাফন করেছে। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই দাবিতে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন টিএনএলএর মুখপাত্র মেজর তার আকি কিয়াও।

“তারা বলেছে, পাঁচ নারী কিন্তু আমাদের ছয় নারী চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী তিনজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধারের দাবি করলেও আসলে আমাদের একজন পুরুষ সদস্য মারা গেছেন।” একই সঙ্গে সংঘর্ষে ছয় নারী মারা গেছে বলে সেনাবাহিনী যে দাবি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করে মেজর তার আকি কিয়াও বলেন, তাদের অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমার দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।