এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্তে আঁকা ডায়নার ছবি
এক পলকে একটু দেখা। ব্যস! তাতেই ব্রিটেনবাসীর মন জুড়িয়ে যেত তাকে দেখে। এক সময় ব্রিটেনের জনগণসহ সারা বিশ্বের মানুষের স্বপ্ন মানবী ছিলেন তিনি। বলছি প্রিন্সেস ডায়নার কথা। প্রিন্স চার্লসের প্রথম ও প্রাক্তন সহধর্মিনী।
সম্প্রতি ডায়নার একটি প্রতিকৃতি ভাইরাল হয়েছে। তবে ডায়নার ছবি বলে যত না, তার থেকেও বেশি ছবির অঙ্কন প্রণালীর জন্য। ছবিটি আঁকা হয়েছে রক্ত দিয়ে। এই রক্ত আবার এইচআইভি পজেটিভ রোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা। এইডস নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন এক শিল্পী।
ডায়না ব্রিটেনের রাজপরিবারের বধূ ছিলেন। তার জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই নিতান্তই সাধারণভাবে। রাজপরিবারের চার দেওয়াল কখনই তাকে আটকে রাখতে পারেনি। রাজপরিবারের বধূ হলেও তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন জনসাধারণের মধ্যে। এইডস রোগীদের সঙ্গেও হাত মেলাতে দ্বিধা করেননি। ১৯৮৭ সালে প্রিন্সেস এক এইডস আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে হাত মেলান। ডায়নার এই কীর্তি সেই সময় একটি জোরালো বার্তা বহন করেছিল।
সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক যুগের এক শিল্পী একটি ছবি এঁকেছেন। ছবিটি আঁকা হয়েছে এইচআইভি পজেটিভ রক্ত আর হীরক চূর্ণ দিয়ে। সেই ছবিটিই এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
ওই শিল্পীর নাম কোনোর কলিন্স। এইডস নিয়ে যে গতানুগতিক ধারণা রয়েছে, তা তিনি বদলাতে চান। তাই ছবি আঁকার জন্য এডস আক্রান্ত মানুষের রক্তই বেছে নেন তিন। সেই সঙ্গে নেন হীরার চূর্ণ। সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, যখন ডায়না এইচআইভি রোগীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন, তখন পুরো বিশ্ব বিস্মিত হয়েছিল। বহুযুগ পর, এইচআইভি স্টিগমা এখনও বর্তমান। মানুষের জানা দরকার কারো সঙ্গে মিশলেই এই রোগ ছড়ায় না কারণ এটা ছোঁয়াচে নয়।
টিটিএন/এমএস