কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-টেকনাফ সড়কে ধর্মঘট প্রত্যাহার
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-টেকনাফ সড়কে অনির্দিষ্টকালের পবিহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দুপুরে এ ধর্মঘট তুলে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে ধর্মঘট আহ্বানকারীরা। সঙ্গে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের অফিসটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের কক্সবাজার শাখার বিবাদমান দু’গ্রুপের সঙ্গে জেলা প্রশাসক কথা বলেন বৃহস্পতিবার সকালে। দু’পক্ষ সমঝোতায় সম্মত হলে আগামী ১০ আগস্ট বসার দিনক্ষণ ঠিক করেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বেলা ১১টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে তারা।
এদিকে দু’পক্ষের মাঝে অনাহুত ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের কক্সবাজার জেলা অফিস সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আবু জাগো নিউজকে জানান, জেলা প্রশাসকের সমঝোতার আহ্বানে সম্মত হয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এখন সংগঠনের আওতাভুক্ত সকল যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা সিএনজি অটোরিকশা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের আহ্বায়ক জিন্নাত আলী জাগো নিউজকে জানান, অহেতুক পরিবহন ধর্মঘট ডেকে যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল। প্রশাসনে সমঝোতার আহ্বানে তা স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সমস্যা সমাধানে দু`পক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হলে তারা সাড়া দেয়ায় সহজে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা গেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্যকে স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে বাজারঘাটা এলাকায় সংগঠনের জেলা অফিসে বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এসময় কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ছিদ্দিকসহ ১০ জন আহত হলে হামলার প্রতিবাদে একপক্ষ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-টেকনাফ মহাসড়কে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/আরআইপি