বামফ্রন্টের চেয়ে তৃণমূল বেশি খারাপ : মোদি

মনিকা সাহা
মনিকা সাহা মনিকা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি কলকাতা থেকে
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৮

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর কলেজের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট ছাড়া বাংলায় কিছু করা কঠিন। সিন্ডিকেট ছাড়া এখানে কলেজে ভর্তি হওয়া যায় না। মা-মাটি-মানুষের সিন্ডিকেট কৃষকদের লভ্যাংশ ছিনিয়ে নেয়, বিরোধী দলের সদস্যদের হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের চেয়ে তৃণমূল বেশি খারাপ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে দিনে দিনে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা খুব কঠিন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে যে টাকা দেয়, সেই টাকা কীভাবে খরচ করা হবে, তা ঠিক করে সিন্ডিকেট।

তিনি আরও বলেন, বাংলায় যুবকদের কোনো চাকরি নেই। বামফ্রন্ট যতটা খারাপ ছিল, তৃণমূল তার থেকেও পশ্চিমবঙ্গের হাল খারাপ করেছে। বাংলায় আলুর ফলন ভালো হয়, আর তারপর কী হয় সেটা জানি। কৃষকদের কথা এর আগে কেউ ভাবেনি কৃষক আমাদের অন্নদাতা। গ্রাম আমাদের আত্মা।

সোমবার দুপুরে ভাষণ শুরুর সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোদি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের প্রতি যে প্রকল্প নিয়েছে সেই জন্য রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেদিনীপুরজুড়ে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী পোস্টার-হোডিং লাগিয়েছেন তার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।

মুখ্যমন্ত্রী আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাতজোড় করে। এখানে আসার সময় বিশাল জনসমাগম দেখে আমি বিস্মিত। সত্যিই আমি আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী আসার আগে বক্তব্য রাখেন- শমীক ভট্টাচার্য, সায়ন্তন বসু, মুকুল রায়। এই দিনের সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যটির বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, কৈলাস বিজয়বর্গী, বাবুল সুপ্রিয়, এবং কৃষক মোর্চার সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল।

সভায় মুকুল রায় বলেন, ‘তৃণমূল পার্টি পিসি, ভাইপোর পার্টিতে পরিণত হয়েছে। চোর তাড়াতে গিয়ে আমরা ডাকাতকে ডেকে এনেছি।

প্রবল বৃষ্টির ফলে সভা চলাকালীন প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে পড়ে ও বেশ কিছু লোক আহত হয়। আহতদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের দেখতে হাসপাতালে গেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

এমআরএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।