ওকে ছাড়বে না, আত্মহত্যার আগে বিমানবালার ক্ষুদেবার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৮

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৩২ বছর বয়সী এক বিমানবালা। ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া সাথে সাথেই মৃত্যু হয় তার। শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

তবে তার পরিবারের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেননি বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের দাবি অনুযায়ী মৃত্যুর তিনদিন পরে দ্বিতীয়বারের মতো তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ। লুফথানসা এয়ারলাইন্সে বিমানবালা হিসেবে কাজ করছিলেন অ্যানিসিয়া বাত্রা।

তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন যে, অ্যানিসিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে আসছেন তার স্বামী মায়াংক সিংভি। গতমাসে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেন।

শুক্রবার পঞ্চসেল পার্কের নিজের বাসার ছাদ থেকে অ্যানিসিয়া লাফিয়ে পড়ার পর তার স্বামীর কাছ থেকে ফোন পায় পুলিশ। মায়াংক সিংভির দাবি তার স্ত্রীর একটি ক্ষুদে বার্তা পেয়েই ছাদে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাকে খুঁজে পাননি। এর কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির বাইরে নিচে স্ত্রীর নিথর দেহ দেখতে পান।

মাত্র দু’বছর আগেই বিয়ে করেছিলেন তারা। অ্যানিসিয়ার ভাই জানিয়েছেন, আত্মহত্যার আগে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের বেশ কিছু ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন। ক্ষুদেবার্তায় তিনি পুলিশ ডাকতে বলেছেন। তিনি এও বলেছেন যে, মায়াংক তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখেছে। মায়াংকের জন্য আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে উল্লেখ করে অ্যানিসিয়া বলেন, ওকে ছাড়বে না।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে ওই ঘটনার সময় মায়াংক বাড়িতেই ছিলেন। মৃত্যুর ঠিক আগে তাকে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠান অ্যানিসিয়া। তাতে তিনি লিখেছিলেন, এবার যে কোনও রকমের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন তিনি। ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পরপরই ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ করেছেন মায়াংক। তার দাবি ছাদ থেকে অ্যানিসিয়ার দেহ নীচে পড়ে থাকতে দেখে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।