অমানবিক-অনৈতিক কাজে যুক্ত ছিলেন মাদার তেরেসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩২ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৮

আবার বিতর্কে জড়ালেন তসলিমা নাসরিন। এবার ভারতের রাঁচির মিশনারিজ অব চ্যারিটির কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা শিশু পাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরাসরি আক্রমণ করেছেন মাদার তেরেসাকে।

তসলিমা নাসরিন নিজের টুইটারে লিখেছেন, মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠান যে বাচ্চা বিক্রি করে এটা সবার জানা। মাদার তেরেসা নিজেও বহু বেআইনি, অমানবিক, অনৈতিক, আদর্শহীন, বর্বরোচিত কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অপরাধী বিখ্যাত বলে তাকে আড়াল করার কোনও মানে হয় না।’ এ প্রসঙ্গে নিজের দু’টি বইয়ের উল্লেখ করে তসলিমা বলেন সেগুলি পড়লেই মাদার তেরেসার কাজ সম্পর্কে জানা যাবে।

তার ওই টুইট প্রকাশের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। তার এমন টুইটের বিরুদ্ধে কলকাতার আর্চ বিশপ টমাস ডিসুজা বলেন, এ ধরনের কথার মধ্যে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। লেখিকার যা ইচ্ছা তিনি তাই বলতে পারেন কিন্তু তাতে মাদার তেরেসার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না। নিজের কাজ দিয়েই তিনি মানুষের মধ্যে অমর হয়ে থাকবেন। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।

এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য না করলেও মিশনারিজ অব চ্যারিটির মুখপাত্র সুনীতা কুমার বলেছেন, পুরো বিষয়টি তাকে ব্যথিত করেছে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ বলেন, এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি। মাদার তেরেসার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কয়েকদিন আগেই রাঁচির মিশনারিজ অব চ্যারিটির হোমে শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হন সিস্টারসহ দু’জন। তার পর থেকেই সারাদেশে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে মাদার তেরেসাকে কলুষিত করার ছক বলে ব্যাখ্যা করেন। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও মমতাকে সমর্থন করেছেন।

কিন্ত এ বিষয়ে একেবারে উল্টো অবস্থান নিলেন তসলিমা নাসরিন। অন্যদিকে রাঁচির ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের দাবি আটক ব্যক্তিরা নিজদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাছাড়া রোববার পাচার হয়ে যাওয়া আরও একটি শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট চারটি শিশুর খোঁজ পাওয়া গেল।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।