কারাগারে বিছানাও দেয়া হয়নি নওয়াজকে, অভিযোগ ছেলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৮

পাকিস্তানে কারাগারে বিছানাও দেয়া হয়নি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে। রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা জেলে উচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে নিম্নমানের সুযোগ সুবিধার মধ্যেই নওয়াজকে রাখা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে হুসেইন নওয়াজ শরীফ।

নওয়াজের ছেলের অভিযোগ, কারাগারে তার বাবাকে কোনো বিছানা দেয়া হয়নি। এছাড়া সেখানকার বাথরুমও অত্যন্ত নোংরা। সম্ভবত সেগুলো বছরের পর বছর পরিস্কারও করা হয়নি।

শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত পৌঁনে ৯টার দিকে লাহোর বিমানবন্দরে নামার পর নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে গ্রেফতার করে দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার মেয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরের একদিন পর নওয়াজ শরীফের সঙ্গে তার আইনজীবীকে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়। আইনি দলটি জানিয়েছে, তাদের মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য নওয়াজের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়েছে।

ওই দলটি জানিয়েছে, আদিয়ালার জেলে নওয়াজ শরীফের জন্য কোন বিছানা বা এসির ব্যবস্থা করা হয়নি। তারা জানিয়েছেন, নওয়াজের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের সময় একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। নওয়াজকে কারাগারে কোনো পত্রিকাও পড়তে দেয়া হচ্ছে না। তাকে একটি তোশকের ওপর ঘুমাতে দেয়া হয়েছে। আর তার জন্য যে বাথুরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার অবস্থাও জঘণ্য।

দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টাবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) মামলার বিরুদ্ধে সোমবার আপিলের আবেদন করবেন নওয়াজের আইনজীবীরা। নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে মহিলা সেলে রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে মরিয়ম নওয়াজ জানিয়েছেন, তার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিজের ইচ্ছাতেই তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছি। এটা একবারেই আমার নিজের সিদ্ধান্ত।

দুর্নীতির দায়ে ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে ৮ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।