ভুঁড়ি না কমালে চাকরি যাবে পুলিশের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৮

ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মেদ-ভুঁড়ি কমিয়ে ফেলার জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা যদি মেদ-ভুঁড়ি কমাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে চাকরি চলে যেতে পারে তাদের।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দেড় বছরে দেড়শ’র মতো পুলিশ কর্মী অকালে মারা গেছে মূলত বেশি মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মেদবহুল লিভার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, কিডনি, হৃদরোগ, নিয়ন্ত্রণহীন জীবনযাপন এবং ব্যায়াম ও ডায়েট কন্ট্রোল না করার অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তারা।

আর এতেই সজাগ হয়েছে কর্নাটক রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে মেদ-ভুঁড়িওয়ালা পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের শরীরে শর্করার মাত্রা কেমন তা জানতে ওই পরীক্ষা করা হয়।

এ পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, অনেককে পাঠানো হয়েছে ট্রেনিং প্রোগ্রামে, দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও ব্যায়ামের টিপস। খাদ্য তালিকাতেও পরিবর্তন আনতে বলা হয়েছে তাদের। সেইসঙ্গে মদ বা অ্যালকোহল, বিড়ি সিগারেট, খইনি ও ঘুটকা ছাড়ানোর বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে দিল্লির এক পুলিশ অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘সব পুলিশ পেট মোটা, মেদবহুল এ কথা মনে করার কারণ নেই। ৭০ শতাংশের বেশি পুলিশ দৈহিক দিক থেকে ফিট। আমাদের যে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় দিনরাত, শরীর ফিট না থাকলে তা কী করে সম্ভব, আপনিই বলুন? পুলিশকে গড়পড়তা ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। হ্যাঁ, মুষ্টিমেয় কিছু পুলিশের বাড়তি মেদ থাকতে পারে। কিন্ত বেশিরভাগই শারিরীক দিক থেকে মোটামুটি ফিট। তবে নিয়মিত ব্যায়াম বা ডায়েট কন্ট্রোল করার সরকারি নির্দেশ অন্তত দিল্লি পুলিশের নেই। তবে এটা জানা কথা, শরীর ফিট না থকলে প্রমোশন আটকে যাবে।

স্বাস্থ্যচর্চায় ভারতীয় পুলিশের অনীহার কারণে হিসেবে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯০ শতাংশকে কাজ করতে হয় আট ঘণ্টার বেশি। ৭৩ শতাংশের কোনো নির্দিষ্ট ডিউটি আওয়ার্স বলে কিছু নেই। নেই সাপ্তাহিক ছুটি। এখানেই শেষ নয়, নবরাত্রি, দিওয়ালি, দুর্গাপূজা, প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বলা বাহুল্য, ভোটের সময়ে ডিউটির শেষ নেই। তখন পুলিশ কর্মীদের কাজের সময় হয় প্রতিদিনি ১৪-১৫ ঘণ্টা। আরেকটা পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ৯০ শতাংশকে ডিউটি দিতে হয় রোজ আট ঘণ্টার বেশি, ৬৮ শতাংশকে ১১ ঘণ্টার বেশি এবং ৩০ শতাংশকে ১৪ ঘণ্টার বেশি।

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।