বিয়ে বাড়িতে রক্তদান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৬ এএম, ০৯ জুলাই ২০১৮

বিয়ে বাড়িতে হইচই হবে, নাচ হবে, গান হবে আর খাওয়া-দাওয়ার জমকেশ আয়োজন-এটাইতো স্বাভাবিক। তবে এবার যেন এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটল। স্বয়ং কনে বেঁকে বসলেন বিয়ে বাড়িতে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। অগত্যা কী আর করা! শেষমেশ বিয়ে বাড়িতে ডাক্তার, প্যারামেডিক্স ডাকতে বাধ্য হলেন কনের বাবা। প্রথম রক্ত দিলেন কনের মা। শুক্রবার ভারতের নদীয়া জেলার তেহাট্টায় এ ঘটনা ঘটে।

কনের নাম সৌমিতা। পেশায় তিনি একজন প্রকৌশলী। পাত্র অর্পণ হাজরাও পেশায় একজন প্রকৌশলী। তবে অর্পণকে বিয়ে করার জন্য শর্ত জুড়ে দেন সৌমিতা। শর্ত হলো বিয়ে বাড়িতে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে।

এ বিষয়ে সৌমিতা বলেন, ‘আমি বাবা-মাকে বলেছি, বিয়েতে কোনো স্বর্ণ বা গহনা লাগবে না। আমি সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। বিশেষ করে এখন, যাতে করে এই মুহূর্তে রক্ত সংকটের চাহিদা পূরণ করতে পারি।’

মেয়ের এই কাজের জন্য অবশ্য বাবা-মা উভয়ই খুশি। স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন করা হয়। আর কমিউনিটি সেন্টারের চত্বরেই চলে রক্তদান কর্মসূচি। সকাল দশটা থেকে শুরু বিকেল তিনটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। প্রথমে রক্ত দেন কনের মা ডালিয়া। এরপর একে একে তার বন্ধু-বান্ধবী ও আত্মীয়-স্বজনরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। মোট ৩০ জন রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এর আগে ভারতের উপকূলীয় জেলা কেন্দ্রপাড়ার বিয়ের পাত্র সরোজকান্ত বিসওয়াল বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ১০০১টি গাছের চারা দাবি করেন। বিয়েতে শ্বশুরের পক্ষ থেকে যৌতুক নেয়ার বিষয়ে চাপ থাকায় তিনি এ দাবি করে বসেন। পরে ১০০১টি গাছের মধ্যে কিছু গাছ গ্রামবাসীদের মাঝে কিতরণ করে দেন। বিয়েকে শব্দ দূষণ ও পরিবেশ দূষণ থেকে দূরে রাখতে ডিজে মিউজিক ও আতশবাজিও বন্ধ রাখেন এই বর।

এমনকি বন্ধু ভাবাপন্ন পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে বিয়ে পরবর্তী সকল অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার পরিত্যাগ করেন এবং এটা যেন অতিথিরা তাদের জীবনে অনুসরণ করে, সেই অনুরোধও করেন তিনি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।