বন্যায় বাড়ছে ঝুঁকি, গুহায় খোঁড়া হচ্ছে শতাধিক সুরঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৮

থাইল্যান্ডের জলমগ্ন গুহায় আটকা পড়া কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধারে ‘পানি এবং সময়ের’ সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। প্রথম দিকে গুহা থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এই কিশোরদের উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও শনিবার উদ্ধারকারী মিশনের প্রধান বলেছেন, এখন সেই সিদ্ধান্ত দ্রুতই পরিবর্তন করতে হচ্ছে।

মিশন প্রধান ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন বলেছেন, গুহা কমপ্লেক্সের ভেতরে আটকা থাই কিশোর ফুটবল দলের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে গুহার গাঁয়ে শতাধিক সুরঙ্গপথ খোঁড়া হচ্ছে।

গুহা থেকে কিশোরদের বের করে আনতে নজিরবিহীন উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি বন্যার পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে কিশোরদের ডুবসাঁতারে উদ্ধার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কারণ তারা এখনো সাঁতার ভালোভাবে রপ্ত করতে পারেনি; তবে তাদের সাঁতার শেখানো হচ্ছে।

ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন বলেন, গুহার ওপর থেকে যেসব সুরঙ্গপথ তৈরি করা সেসবের অধিকাংশের গভীরতা ৪০০ মিটারের বেশি। কিন্তু তারা এই সুরঙ্গপথে কিশোরদের অবস্থান সনাক্ত করতে পারছেন না। এছাড়া প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে কিশোররা গুহার কোন জায়গায় অবস্থান করছে সেটিও উপর থেকে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

thai-wild-bore.jpg

‘আমরা ধারণা করছি যে, তারা গুহার ৬০০ মিটার নিচে আছে। কিন্তু আমরা তাদের সঠিক অবস্থান বলতে পারছি না।’

গুহার ভেতরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে আসার ব্যাপারে উদ্ধার মিশনের এই প্রধান বলেন, ‘বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করার জন্য উদ্ধারকারীরা গুহায় একটি লাইন স্থাপন করেছেন। উদ্ধার ঘাঁটি ‘চ্যাম্বার থ্রি’ থেকে অতিরিক্ত লোকজনকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে থাইল্যান্ডের উইল্ড বোর ফুটবল টিমের ১২ কিশোর সদস্য ও তাদের কোচ থ্যাম লুয়াং গুহায় আটকা রয়েছেন। গত ২৩ জুন গুহায় অনুশীলনে যাওয়ার পর হঠাৎ বন্যার পানি গুহায় ঢুকে পড়ায় সেখানে আটকা পড়েন তারা। এই ফুটবল দলের সন্ধানে ব্রিটিশ দুই ডুবুরির সমন্বয়ে গঠিত থাই নেভি সিলের উদ্ধারকারী দল গত সোমবার তাদের সন্ধান পায়।

সূত্র : এএফপি।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।