আইএস প্রধান বাগদাদির ছেলের মৃত্যু
সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রধান আবুবকর আল বাগদাদির ছেলে হুদাইফাহ আল বদরি মারা গেছেন। সিরিয়ার হোমস শহরে একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে আইএস বিরোধী অভিযানে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার এই খবর প্রকাশ্যে আনে আইএসের নিজস্ব সংবাদ সংস্থা আমাক। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বাগদাদির ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। বিবৃতির সাথে সংস্থাটি একটি ছবিও যোগ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, কাঁধে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আইএস প্রধানের ছেলে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার হোমস শহরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে আইএস বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল স্থানীয় মানুষজন। সেখানে হামলা চালাতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে আল বাদরির।
বাগদাদি কোথায় রয়েছেন তা এখনও অজানা। তবে মঙ্গলবারের বিবৃতি থেকে অনুমান করা যায়, তিনি জীবিত আছেন।
২০১৪ সালে ইরাকের মসুলে একটি মসজিদ থেকে নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা দাবি করার পর থেকে আত্মগোপনকৃত এই নেতা মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন খবর প্রচার করা হয়। ওই বছর শেষবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসেছিলেন বাগদাদি।
মসুলের একটি মসজিদ থেকে খেলাফতের নামে সন্ত্রাসবাদীদের বক্তৃতা দিতে শোনা গিয়েছিল আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে। তারপর থেকে সিরিয়া, ইরাক, ইরান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে একাধিক নাশকতা চালিয়ে গিয়েছে আইএস।
গত বছরের ১৬ জুন সিরিয়ার রাকা প্রদেশে অভিযান চালায় রুশ সেনা। তাদের বোমারু বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছিল আইএস প্রধানের। এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। তবে খবরের সত্যতা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিভ্রান্তি।
তবে ২৯ জুন রাশিয়া জানিয়েছিল, বাগদাদির মৃত্যুর বিষয়ে তারা একশ শতাংশ নিশ্চিত। অবশেষে, এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছিল আইএস।
বাগদাদিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদীও ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তার মাথার দাম ধার্য করা হয় ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সূত্র: এনডিটিভি, সংবাদ প্রতিদিন।
এসআর/আরআইপি