স্যামসাং সামগ্রী আমদানিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা
অনুমোদিত ডিলার ছাড়া মোবাইলসহ স্যামসাং কোম্পানির যেকোন ধরনের সামগ্রী আমদানিকারক ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে খালাসের জন্য মেধাস্বত্ব (আমদানি) নীতি অনুসরণ করার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। অপর এক আদেশে অবৈধ ডিলারদের যন্ত্রাংশ খালাসের অনুমতি না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন । সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মোবাইলসহ স্যামসাং কোম্পানির যে কোন ধরণের সামগ্রী খালাসের জন্য মেধাস্বত্ব (আমদানি) নীতি কেন অনুসরণ করা হবে না এবং আমদানি করা সামগ্রী বিটিআরসির (এনওসি) কেন চাওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদূদ আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিজবা। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিজবা জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী হামিদুল বলেন, অবৈধ ডিলাররা মোবাইলসহ স্যামসাং কোম্পানির বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি করে থাকে। তবে আমদানি করা যন্ত্রাংশ খালাস করার সময় কস্টমসকে ঘুষ দেয়। ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ ডিলাররা যেসব যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে তার বেশির ভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ। আবার কিছু কিছু যন্ত্রাংশে মেয়াদের অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। ওইসব ডিলারের নিকট থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ এসব সামগ্রী কিনে ক্রেতা সাধারণরা ঠকছে। তাই লাইসেন্সধারী ডিলারদের মাধ্যমে এসব যন্ত্রাংশ আমদানি করলে ক্রেতারা বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তিনি বলেন, আমদানি নীতি বা মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডিলার ব্যতীত অন্যান্য ডিলাররা কোন কোম্পানি সামগ্রী আমদানি করলে তা কস্টমস খালাসের অনুমতি না জব্দ করার কথা। কিন্তু তারা ঘুষ গ্রহণ করে তা খালাস করে দেয়।
তাই আমি অনুমোদিত স্যামসাং কোম্পানির ডিলারের পক্ষে আমদানি নীতি আইন এবং অবৈধ ডিলারশিপ বন্ধ চেয়ে ঈদের আগে রিট আবেদন করেছিলাম। আজ শুনানি শিষে আদালত এই নির্দেশনা দেন।
এফএইচ/এসএইচএস/এমআরআই