বহুমুখী বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের প্রস্তাব


প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৫

মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে পণ্য আমদানি-রফতানিতে ইউরো ও ডলারের পাশাপাশি বহুমুখী বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন গ্লোবাল কারেন্সি ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ টফট। মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে ‘কারেন্সি এক্সপোজার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রস্তাব করেন।

জোসেফ টফট বলেন, একাধিক মুদ্রা ব্যবহারের ফলে কারেন্সির অব্যবস্থাপনা দূর হবে। পাশাপাশি পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি দূর হবে। কারণ মার্কিন মুদ্রা ব্যবহারের ফলে বছরে ৩৮০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় যে দেশের সঙ্গে পণ্য বিনিময় হবে সেই দেশের মুদ্রা ব্যবহার করার প্রস্তাব দেন তিনি। এতে বাংলাদেশ আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে বলেও জানান জোসেফ টফট।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশে ইউএস ডলার ও ইউরোসহ বিভিন্ন মুদ্রার যে দরপতন হচ্ছে তাতে করে এই মুদ্রা ব্যবহার করলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। যদি ইউরো ও ডলারের পরিবর্তে অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহার করা হয় তাহলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা যাবে। তাই বহুমুখি কারেন্সি বাস্কেটে আমাদের যেতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম বলেন, যদি স্টোক হোল্ডাররা চায় একাধিক মুদ্রার প্রচলন করতে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক সবধরনের সহযোগিতা করবে।

বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিবছর ১ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। আমরা যদি একাধিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ ধরনের অবমূল্যায়ন কমবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ’র উপদেষ্টা মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আক্তারুজ্জামান, বিজিএমইএ’র সহসভাপতি এম এ মান্নান কচি, শহীদুল্লাহ আজিমসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

এসআই/আরএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।