গুহায় আটকে পড়া কিশোরদের সঙ্গে থাকতে চান দুই চিকিৎসক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৮

প্রায় দশদিন গুহায় আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচের কাছে খাদ্য ও ঔষধ পৌঁছাতে পেরেছে উদ্ধারকারীরা। এখন তাদের নিরাপদে বের করে নেয়ার উপায় খুঁজছেন তারা। থাই নৌবাহিনীর দু’জন চিকিৎসক আটকে পড়া কিশোরদের সঙ্গে গুহায় থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, গুহায় আটকে থাকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে বের করে আনার ক্ষেত্রে কোন ধরণের ঝুঁকি নিতে চাননা তারা।

আটকে থাকা এসব ব্যক্তিরা প্রায় দশ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো খাবার ও ঔষধ পেয়েছেন। সাতজন ডুবুরী তাদের কাছে এসব খাদ্য পৌঁছে দেন। তবে এতদিন খাবার না খেয়েও শারীরিকভাবে সুস্থ আছে ওই কিশোররা এবং তাদের কোচ। একজন ডাক্তার এবং একজন নার্স গুহায় আটকে পড়া দলটির সঙ্গে দেখা করেছেন।

থাইল্যান্ডের উত্তরে ওই গুহার মধ্যে প্রায় নয়দিন ধরে আটকে থাকার পর মঙ্গলবার তাদের সন্ধান পায় উদ্ধার কর্মীরা।
একটি ফুটবল সেশন শেষে কোচের সঙ্গে গুহার মধ্যে গিয়েছিলো ওই ১২ কিশোর। কিন্তু এরপরই প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে তাদের বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। যে গুহায় তারা আটকা পড়েছে সেটি থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহাগুলোর একটি।

তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করে থাই নৌবাহিনী এবং সেখানে দেখা যায় তারা সবাই জীবিত আছেন এবং কথাও বলছেন। এরপর তাদের কাছে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো সহজে হজমযোগ্য ও উচ্চশক্তির খাবার আর ভিটামিন পৌঁছানো হয়।

চিয়াং রাই প্রদেশের গভর্নর নারংসাক ওসোত্তানাকর্ন বলেছেন তারা কোন তাড়াহুড়া করতে চাননা। এদিকে আরও বৃষ্টির কারণে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় গুহায় বাতাস ঢোকার পথগুলো হুমকির মুখে আছে।

গুহায় আটকে পড়া দলটির বেশিরভাগই সাঁতার জানেনা যা পুরো উদ্ধার প্রক্রিয়াকে আরও জটিলতায় ফেলেছে।
এর আগে থাই সামরিক বাহিনী বলেছে যে, এদের প্রথমে সাঁতার শেখাতে হবে বা অপেক্ষা করতে হবে অন্তত চার মাস।
নতুন করে বন্যার পানির কারণে যেন ঝুঁকি তৈরি না হয় সেজন্য পানি পাম্প করে বের করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আর প্রদেশের গভর্নর বলছেন, গুহার মধ্যেই যেখানে ছেলেরা আটকে আছে সেখানে একটি অবকাঠামো তৈরির অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

গুহার ভেতরের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে আটক কিশোরদের বের করে আনাটা একটা ভয়াবহ বিপজ্জনক কাজ।
থাম লুয়াং নামের ওই গুহাটি বর্ষায় নিয়মিত বন্যার পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। এমন অবস্থা থাকে সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন গুহার মধ্যে বিপজ্জনক করিডোর, শূন্য মাত্রার দৃশ্যমান পানির কারণে অদক্ষ ডুবুরীদের নেয়াও ঝুঁকির বিষয় হবে।

উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত থাকা ডুবুরী বেন রেমিনেন্টস বিবিসিকে জানিয়েছেন, থাই নৌবাহিনীর দু’জন চিকিৎসক নিজেদের ইচ্ছাতেই আটকে পড়া শিশুদের সাথে পানি কমে না আসা পর্যন্ত গুহায় অবস্থান করতে চেয়েছেন। আর অন্য আরেকটি টীম পাহাড়ের অন্য দিক থেকে গুহার ভিন্ন পথ খোঁজার কাজ করে যাচ্ছে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।