নাজিব রাজাক গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৮

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাজিবের আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে কুয়ালালামপুর থেকে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।

মালয়েশিয়ার ইনসাইট পোর্টাল জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিককে নিজের বাড়ি থেকে একটি পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

নাজিবের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে বুধবার চার্জ গঠন করা হতে পারে। এর আগে নাজিব রাজাক এবং তার স্ত্রী রোজমা মানসুরের মালিকানাধীন বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং হ্যান্ডব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

ওয়ানএমডিবি নামের একটি রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এগুলো জব্দ করা হয়। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টায়রা, ১৪০০ নেকলেস, ৫৬৭ হ্যান্ডব্যাগ, ৪২৩টি ঘড়ি, ২২০০টি আংটি, ১৬০০ ব্রোচ এবং ২৩৪টি সানগ্লাস। পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একবারে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী কখনো বাজেয়াপ্ত হয়নি।

গত মে মাসের ৯ তারিখে সাধারণ নির্বাচনে দেশটিকে দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করা নেতা মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে যান নাজিব রাজাক।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই মাহাথির মোহাম্মদ এক ঘোষণায় জানান যে, ওয়ানএমডিবি বিনিয়োগ তহবিলের শত শত কোটি ডলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও তদন্ত শুরু করবেন তিনি।

দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয় যে নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

মে মাসের নির্বাচনে নাজিবের পরাজয়ের পেছনে দুর্নীতির অভিযোগ এক বড় কারণ ছিল বলে মনে করা হয়। নির্বাচনের পর নাজিবকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার দেশের বাইরে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

মাহাথির এবং তার সরকারের ঊর্ধ্বতন নেতাদের বিশ্বাস, নাজিব রাজাক যে ওয়ানএমডিবি ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এদিকে, মার্কিন প্রসিকিউটররা বলছেন, ৭০ কোটি ডলার অর্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একাউন্টে জমা হয়েছে।

টিটিএন /এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।