সংঘাতের শঙ্কা : সৌদি থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে মালয়েশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ২৮ জুন ২০১৮

আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কায় সৌদি আরব থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ সাবু বলেছেন, তার দেশের নতুন সরকার সৌদি অারব থেকে মালয়েশীয় সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ সাবু বলেন, সৌদি আরবে সৈন্য উপস্থিতি মালয়েশিয়ার জন্য আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করেছে। প্রতিবেশে দেশ ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক হস্তক্ষেপে মালয়েশীয় সৈন্য অংশ নেয়নি বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

‘মালয়েশিয়া সবসময় নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলছে। তারা কখনোই আক্রমণাত্মক পররাষ্ট্র নীতি মেনে চলে না।’

সৌদি আরব থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সৈন্য প্রত্যাহারের সময় নির্ধারণের জন্য শিগগিরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা শুরু হবে।’

২০১৫ সালের মাঝের দিকে সৌদি আরবের নেতৃত্বের আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিরোধীদের দমনে সানায় সামরিক অভিযান শুরু করে।

দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের তীব্র আন্দোলন ও হামলার মুখে ২০১৪ সালে ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল-হাদি দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পালাতে বাধ্য হয়। হাদি নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা শুরু করে সৌদি জোট।

পরে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এই জোট থেকে আরব বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে শুধুমাত্র সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জাতিসংঘ বলছে, গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে অধিকাংশ শিশুর প্রাণহানি ও গুরুতর আহত হওয়ার জন্য দায়ী সৌদি জোট। তবে ঠিক কতসংখ্যক মালয়েশীয় সৈন্য সৌদি আরবে রয়েছে তা পরিষ্কার নয়। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ২০১৫ সালে মালয়েশীয়দের উদ্ধারের জন্য সৌদি আরবে সেনাবাহিনী পাঠান।

সূত্র : আল-জাজিরা।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।