নাজিবের বাড়ি থেকে ২৭ কোটি ডলারের স্বর্ণালংকার-নগদ অর্থ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ২৮ জুন ২০১৮

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এবং তার স্ত্রী রোজমা মানসুরের মালিকানাধীন বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং হ্যান্ডব্যাগ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ওয়ানএমডিবি নামের একটি রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এগুলো পাওয়া গেছে। এতে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টায়রা, ১৪০০ নেকলেস, ৫৬৭ হ্যান্ডব্যাগ, ৪২৩টি ঘড়ি, ২২০০টি আংটি, ১৬০০ ব্রোচ এবং ২৩৪টি সানগ্লাস।

পুলিশ কমিশনার অমর সিং নিশ্চিত করেছেন যে, নাজিবের মালিকানাধীন ছয়টি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। নাজিব রাজাকের ওয়ানএমডিবি বিনিয়োগ তহবিলের শত শত কোটি ডলারের কোন হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মে মাসে নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একবারে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী কখনো বাজেয়াপ্ত হয়নি।

Najib

এসব সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল অলংকার। সবচেয়ে দামী অলংকারটি ছিল ১৬ লাখ ডলার দামের একটি নেকলেস। ৫৬৭টি হ্যান্ডব্যাগের মধ্যে ছিল নগদ প্রায় ৩ কোটি ডলার। পুলিশ কর্মকর্তা অমর সিং বলেছেন, এত সামগ্রী পাওয়া গেছে যে তাদের তা গুণতে এবং মূল্য হিসাব করতে পাঁচ সপ্তাহ সময় লেগেছে।

নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোজমার তার শপিংপ্রীতি এবং দামী ব্র্যান্ডের জিনিসের প্রতি আকর্ষণের জন্য বেশ পরিচিত। তাকে ফিলিপাইনের সাবেক ফার্স্ট লেডি ইমেলদা মার্কোসের সাথেও তুলনা করা হতো- যিনি তার বিলাসদ্রব্য এবং জুতার প্রতি আসক্তির জন্য বিখ্যাত ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয় যে নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। মে মাসের নির্বাচনে নাজিবের পরাজয়ের পেছনে দুর্নীতির অভিযোগ এক বড় কারণ ছিল বলে মনে করা হয়। নির্বাচনে জয়ী হন তারই সাবেক মিত্র মাহাথির মোহাম্মদ। নির্বাচনের পর নাজিবকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তার দেশের বাইরে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।