বৃষ্টির প্রতীক্ষায় গাইবান্ধার জনপদ


প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৫

গাইবান্ধায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হঠাৎ কয়েক মিনিটের মৃদু বর্ষণ গুমোট গরম আরো  বাড়িয়ে দেয়। কখনো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই।

প্রচণ্ড গরম নিয়ে গাইবান্ধা পরিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক ওয়াজিউর রহমান র্যাফেল জাগো নিউজকে বলেন, আগে বর্ষার ভরা মৌসুমে এমন বৃষ্টিহীন দিন আমরা দেখিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গাইবান্ধায় এখন গাইবান্ধার গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনো কখনো তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসও পার হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। একটু ছায়ার নীচে বসে মানুষ বিশ্রাম করছেন। শহরের মোড়ে মোড়ে ডাবের পানি, আখের রস, লেবুর রস বিক্রি বেড়েছে।

রিকশাচালক গোলজার মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরছে। বাড়ি থেকে বের হলেও গরমের কারণে শহরে রিকশা চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গাছের ছায়ার নীচে বসে বিশ্রাম নিয়ে সময় কেটে যাচ্ছে। বয়ষ্কজনরা জানান, বৃষ্টি না থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আকম রুহুল আমীন জাগো নিউজকে বলেন, গোটা জুলাই মাস জুড়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১২.২৬ মিলিমিটার। গত বছর জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৭৮.২২ মিলিমিটার।

তাপদাহ বেড়ে গেলেও এখনো মানুষের অসুস্থতার কোনো খবর পাওয়া যায় নি। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে গরম জনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের উপস্থিতিও নেই।

এ বিষয়ে রামচন্দ্রপুরের কৃষক আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপণ করা যাচ্ছে না। কেউ কেউ নীচু জমিগুলোতে আগেভাগে আমনের চারা রোপণ করলেও সেগুলো পানির অভাবে স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে না। তবে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ জানায়, কৃষকদের হাতে এখনো সময় রয়েছে। খুব সম্প্রতি টানা বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
 
এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।