ট্রাম্পের সুর বদল?
পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়াকে ‘অস্বাভাবিক হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। মাত্র ১০ দিন আগে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে থেকে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই।
গত ১৩ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কাছে থেকে আর কোনো পারমাণবিক হুমকি নেই।’ এই টুইটের আগের দিন (১২ জুন) সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেন ট্রাম্প।
বৈঠকের আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কোরীয় দ্বীপের যৌথ সামরিক মহড়ার ঘোষণাও আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। কূটনৈতিক বোঝাপড়ার স্বার্থেই এই মহড়া স্থগিত করা হয় বলে জানায় পেন্টাগন।
কিমের সঙ্গে বৈঠকে অপ্রত্যাশিত ছাড়ের মাধ্যমে বার্ষিক ‘যুদ্ধ খেলা’ অবসানের প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সামরিক মহড়াকে উসকানিমূলক এবং ব্যয়বহুল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কোরীয় দ্বীপে সিউলের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই যৌথ সামরিক মহড়া স্থগিতের ঘোষণায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। অতীতে সামরিক মহড়ার পক্ষে সাফাই গেয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, এ মহড়া একেবারে প্রতিরক্ষামূলক এবং তাদের সামরিক মিত্র সিউলের সঙ্গে সম্পর্কের চাবিকাঠি।
সুর বদল করেছেন ট্রাম্প?
উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী আসলেই তার অবস্থান পাল্টাচ্ছেন? আপাতদৃষ্টিতে পুরোপুরি সেরকম শোনা না যাচ্ছে না। তবে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার তাদের কঠোর অবস্থান জানান দিয়ে আসছে। তখন থেকেই দেশটির ওপর রুটিন অনুযায়ী নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অাসছে ওয়াশিংটন।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ঝুঁকিকে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করে। শুক্রবার এই জরুরি অবস্থার পরিসর বৃদ্ধি করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কোরীয় উপদ্বীপে পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র ও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারযোগ্য উপাদানের উপস্থিতির ঝুঁকি, উত্তর কোরিয়ার সরকারি কর্মকাণ্ড ও নীতির কারণে মার্কিন এ জরুরি অবস্থার সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্র নীতি এবং অর্থনীতির জন্য অস্বাভাবিক এবং বিশেষ হুমকি।’
সূত্র : বিবিসি।
এসআইএস/এমএস