সন্ত্রাসে সংশ্লিষ্টতা : ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড
সন্ত্রাসী এক হামলায় জড়িত থাকার দায়ে ইন্দোনেশিয়ার এক ধর্মীয় নেতাকে শুক্রবার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে জাকার্তা স্টারবাক ক্যাফেতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়। খবর এএফপি’র।
জাকার্তা আদালতে সশস্ত্র পুলিশের কড়া প্রহরার মধ্য দিয়ে মামলার শুনানি হয়। এতে আব্দুর রহমান (৪৬) ওই সন্ত্রাসী হামলার মূলহোতা বলে প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আব্দুর রহমানের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের যোগাযোগ ছিল; জেলে থাকা অবস্থাতেই তিনি ২০১৬ সালের ওই সন্ত্রাসী হামলার ছক কেটেছিলেন।
২০১৬ সালের ওই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের যোগসাজশে হওয়া প্রথম কোনো হামলা বলে দাবি দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। হামলার ছয় বছর আগে থেকেই জেলে অবস্থান করছিলেন আব্দুর রহমান। কারাপ্রকোষ্ঠে বসে তার করা পরিকল্পনাতেই দু্ই বছর আগের ওই হামলা হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
ইন্দোনেশিয়াভিত্তিক জেমা আনসারুত দৌলাহর (জেএডি) আধ্যাত্মিক নেতা তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সমর্থকদের সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে বললেও কখনোই ইন্দোনেশিয়ায় হামলার আদেশ দেননি বলেও দাবি এ ধর্মীয় নেতার।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেও দেশটির সুরাবায়া এলাকার তিনটি চার্চ ও পুলিশ সদরদপ্তরে কয়েক দফা আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৯ ও ১২ বছর বয়সী দুটি মেয়েসহ ছয় সদস্যের একটি পরিবার চার্চগুলোতে হামলা চালিয়েছিল বলে পরে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
হামলায় ১১ জন নিহতের পর একে ২০০৫ সালের পর ইন্দোনেশিয়ায় সংঘটিত সবচেয়ে প্রাণঘাতি জঙ্গি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৩ বছর আগে বালিতে হওয়া ওই সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন।
এমএআর/পিআর