পরিত্যক্ত ডাকঘরে চলছে কার্যক্রম


প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৫

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ডাকঘরটি তিন বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম। ডাকঘরটি পলেস্তরা খসে পড়ছে। দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে। ভবনের অনেক জায়গায় ছোট-বড় ফাটল রয়েছে। তা থেকে রড বের হয়ে তাতে মরিচা পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ চুয়ে মেঝেতে পানি ঝরে। এতে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পুরো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ডাকঘরের সঙ্গে সংযুক্ত আবাসিক ভবনে কেউ থাকে না। একটি টিউবওয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। খাবার ও টয়লেটে ব্যবহারের পানি বাইরে থেকে আনতে হয়। মেইনগেট ভেঙে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। মাদকসেবীরা প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। অনেক সমস্যার মাঝেও সেবা প্রদান করে আসছে ডাকঘরটি।

বর্তমানে সাধারণ মানি অর্ডার, ইএমপিএস, ইএমও, এমএমও, জিইপির মতো সার্ভিস চালু আছে। পাশাপাশি পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র, মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র, ডাক জীবন বীমাসহ অনেক সেবা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। চিঠিপত্রের আদান-প্রদান কমে গেলেও এসব সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতিদিন উপজেলা ডাকঘরটিতে শ’ শ’ নারী-পুরুষ ভিড় জমায়।

পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. আতিকুর রহমান বলেন, দূর থেকে দেখলে উপজেলা ডাকঘরটি পরিত্যক্ত ভবনের মতো মনে হয়।

পোস্টাল অপারেটর ইসলাম মিঞা জানান, ডাকঘরে পানির ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন নীমতলী বাজার থেকে আমাকে পানি আনতে হয়।

পোস্ট অফিসের একজন কর্মচারী এক বছর আগে কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে এসে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে গেছেন কিন্তু আজও কোন কাজ শুরু হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যে কোন সময় ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।